পালটা হামলায় গাজা ও গোলানে বহু ইসরায়েলি সেনা হতাহত

অনলাইন ডেস্ক: গাজা উপত্যকা ও সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে পৃথক ঘটনায় বহু ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়েছেন। হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাদের পালটা হামলায় কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে গোলানে বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত সাত সেনা।

গতকাল বুধবার (২০ আগস্ট) এই তথ্য দিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা মেহের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার খান ইউনিস এলাকায় আল-কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা অ্যান্টি-পারসোনেল শেল ব্যবহার করে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এতে বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয় বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, খান ইউনিস সংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত ওই অভিযানে একাধিক সেনাকে ‘নির্মূল’ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রেস টিভির খবরে বলা হয়, কাসসাম ব্রিগেডের স্নাইপার বাহিনী দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের একটি মারকাভা ট্যাংকের চালককে গুলি করে হত্যা করেছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি স্বীকার করলেও দাবি করেছে, তাদের বাহিনী আক্রমণ প্রতিহত করেছে। সেনাদের তথ্যমতে, বুধবার সকালে অন্তত ১৮ জন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা খান ইউনিসে একটি সেনা শিবিরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় তিনজন ইসরায়েলি সেনা আহত হন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অন্যদিকে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিরিয়ার জাবাল শেখ এলাকায় অভিযান চলাকালে বিস্ফোরণের ঘটনায় সাতজন ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, উত্তরের অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে একটি অপারেশনাল দুর্ঘটনা ঘটে।

ইয়েমেনভিত্তিক আল-মাসিরাহ টিভি ওয়েবসাইট ইসরায়েলি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সিরীয় সেনাদের ফেলে যাওয়া একটি পুরনো বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। এতে সাতজন ইসরায়েলি সেনা আহত হন, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের দ্রুত সাফেদের জিভ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ঘটনার তদন্ত করছে এবং গোলান অঞ্চলে মোতায়েন বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এই ঘটনা এমন সময় ঘটল, যখন গোলান মালভূমি নিয়ে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে অঞ্চলটি দখলে রেখেছে ইসরায়েল। যদিও সিরিয়া এখনো এটিকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে।

Related Articles

Back to top button