পটুয়াখালীর দশমিনায় কাজ না করেই উন্নয়ন খাতের প্রায় ২ কোটি টাকা উত্তোলন

অনলাইন ডেস্ক: পটুয়াখালীর দশমিনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের অর্থ তোলা হয়েছে, তবে এখনও কোনো দৃশ্যমান কাজ শুরু হয়নি। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর কয়েকটি ইউনিয়নে তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু হলেও, অধিকাংশ ইউনিয়নে এখনো প্রকল্প নির্ধারণই হয়নি।
অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের সচিবরা জানিয়েছেন, বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে ইউনিয়ন পরিষদের অ্যাকাউন্টে জমা রাখা হয়েছে, তবে এখনো তা ব্যয় করা হয়নি। প্রকল্প নির্ধারণ করে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।
জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার মোট ৭ টি ইনিয়নে পর্যায়ক্রমে তিন ক্যাটাগরিতে মোট ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ৭০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের অধিনে ইউপি-২ শাখা থেকে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা’’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ হতে বিশেষ, সাধারণ (বিবিজি) ও দক্ষতা ভিত্তিক (পিবিজি) বরাদ্দ দেয়া হয়।
দশমিনায় দেখা গিয়েছে, কাজ না করেই অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে এবং সচিবরা তা অ্যাকাউন্টে রেখে দিয়েছেন। ৩০ জুন ২০২৫-এর মধ্যে অব্যয়িত অর্থ ফেরতের নিয়ম থাকলেও প্রকল্প ছাড়াই টাকা তোলা হয়েছে। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কয়েকটি ইউনিয়নে কাজ শুরু হলেও অধিকাংশ ইউনিয়নে এখনও কাজ শুরু হয়নি।
এ বিষয়ে বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের সচিব জাকির হোসেন জানান, উত্তোলিত অর্থ পরিষদের অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মিটিং করে প্রকল্প ও ডিজাইন অনুমোদন করে কাজ শুরু হবে। অর্থবছর শেষ হলেও টাকা তোলা ও সংরক্ষণে কোনো সমস্যা হয়নি, এবং কাজ অবশ্যই করা হবে।
আলিপুর ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) শুকদেব সিকদার বলেন, ‘আমাদের প্রকল্প অনেক আগেই ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু কাজ শুরু করতে পারিনি। কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করব।’
এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, ‘গত অর্থ বছরের কাজ এখনো শুরু করেনি এরকম থাকার কথা না। ফাইল না দেখে কোনো আপডেট দেওয়া সম্ভব নয়।’ কাজ ছাড়া টাকা রাখা যায় কিনা- এ প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি জানান, কোন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে তা না দেখে এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবেন না।