হাইকোর্টে খালাস পেলেন তিন বছর আগে মারা যাওয়া সাবেক মেয়র কামাল

অনলাইন ডেস্ক: ১৫ বছর আগে দুদকের করা মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত আহসান হাবিব কামালকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা ও অর্থদণ্ড বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলার অপর চার আসামির ক্ষেত্রেও একই আদেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

জানা গেছে, ২৭ লাখ ৫০ টাকা আত্মসাতের মামলায় ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব কামালসহ তৎকালীন পৌরসভার ৫ কর্মকর্তাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছিলেন বরিশালের বিশেষ জজ আদালত। ৭ মাস ৮ দিন কারাভোগের পর ৫০ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে ২০২১ সালের ১৬ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

গতকাল বুধবার হাইকোর্টে কামালের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী জানান, রায় ঘোষণার পরই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছিল। এ মামলার সব আসামিকে নির্দোষ ঘোষণা দিয়ে বুধবার হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন।

রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ মামলার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যারিস্টার সানজিদ জানান, তারা আদালতে উপস্থাপন করেছেন যে, আহসান হাবিব কামাল বিএনপির রাজনীতি করতেন। মামলা দায়েরের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ‘১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে বরিশাল শহরে টিঅ্যাণ্ডটির ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবল স্থাপন করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর তখনকার পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। সড়ক মেরামত দেখিয়ে হাই ইয়ং নামক কথিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে চারটি চেকের মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা। এতে কোন দরপত্র আহ্বান হয়নি। বাস্তবে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই।’

এ ঘটনায় ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর বরিশালের দুদক কর্মকর্তা আব্দুল বাসেত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১১ সালের ১৯ জুলাই আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিচার কাজ সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, আহসান হাবিব কামাল বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পৌর চেয়ারম্যান ও সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হলে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি বিএনপির সমর্থনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।

Related Articles

Back to top button