‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে, চাঁদাবাজি ছাইড়া দে’ শিবিরের স্লোগান ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক: চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রশিবির। বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা ‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে, চাঁদাবাজি ছাইড়া দে’ স্লোগান দিয়েছে। যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) চট্টগ্রামের কাপাসগোলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অলিখাঁ মসজিদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সেক্রেটারি মুমিনুল হক মুমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল ও চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানজীর হোসেন জুয়েল বলেন, বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদীরা যে স্লোগান দিয়েছিল, গতকাল ছাত্রদল একই স্লোগান দিয়ে নব্য ফ্যাসিবাদের পরিচয় দিয়েছে। সারাদেশে চাঁদাবাজি করে ব্যবসায়ী ভাইদের বিরক্ত করে তুলেছে।

ছাত্রদলের ব্যানারে যারা ‘জামায়াত-শিবির-রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ স্লোগান দিয়েছিল, তাদের হুঁশিয়ার করে তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগেও যারা আমাদের বাংলা ছাড়া করার ঘোষণা দিয়েছিল, তারাই আজ বাংলাদেশ ছেড়ে দিল্লি গিয়ে বসে আছে। এভাবে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের চেয়ে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।

চাঁদাবাজি রুখতে ছাত্র-জনতা, ব্যবসায়ী, দোকানি- সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশ শেষ হয়। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক খুররম মুরাদ, অর্থ সম্পাদক গোলাম আজম, অফিস সম্পাদক আরফাত হোসেন, প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক প্রমুখ।

প্রসঙ্গত গত সোমবার রাতে আরিফুল ইসলাম নামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে অভিযুক্ত করে থানায় নিয়ে যান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে শিবিরের নেতাকর্মীরা আরিফুল ইসলামকে ছাড়িয়ে আনতে যান। আরিফকে নিজেদের সংগঠনের ‘সাথি’ দাবি করে শিবির। এরপর বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী আসার পর দিবাগত রাত তিনটার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

Related Articles

Back to top button