অবশেষে এসিসি সভায় যোগ দিচ্ছে সব দেশ

অনলাইন ডেস্ক: ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভারত ও শ্রীলঙ্কার অংশগ্রহণ নিয়ে থাকা অনিশ্চয়তা দূর হয়ে গেছে জানালেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম।
সপ্তাহখানেক ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসিসির মিটিং। প্রথমে জানা গিয়েছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই মিটিংয়ে যোগ দেবে না ভারত। এরপর শোনা যায় আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাও এই সভা বর্জন করতে যাচ্ছে।
সভার নির্ধারিত সময়ের ৪৮ ঘণ্টা আগেও নিশ্চিত ছিল না আইসিসির পূর্ণ সদস্য তিন দেশের অংশগ্রহণ। তবে আগের রাতে আমিনুল জানালেন, শেষ পর্যন্ত এসিসির সভায় যোগ দিতে রাজি হয়েছে সব দেশ।
এসিসি সভার আগের দিন ছিল আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ। সেখানে অংশ নেন এরই মধ্যে সভার জন্য বাংলাদেশে চলে আসা বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিরা। এছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাও যোগ দেন বিশেষ এই আয়োজনে।
নৈশভোজ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ক্রিকেটের স্বার্থে সব দেশকে রাজি করাতে পেরেছে বিসিবি।
তিনি বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে বেশ কিছু পরিকল্পনা করছি। সবার আগে ক্রিকেট। আমাদের সবার মধ্যে যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে থাকত, যেহেতু বাংলাদেশে এসিসির এজিএমটা হোস্ট করছি, সেই দায়িত্বটা নিয়ে সকলের সাহায্য নিয়ে আমরা সবাইকে রাজি করাতে পেরেছি ক্রিকেটের স্বার্থে।’
পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসিসির এজিএম ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এই সভা বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আবেদনে সাড়া দেননি এসিসি সভাপতি মহসিন নাকভি। এ কারণে এসিসির এজিএম বয়কটের হুমকিও দিয়েছিল বিসিসিআই। তবে শেষ পর্যন্ত তারা যোগ দিচ্ছে সভায়।
চলতি বছরের এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। ছয়দলের এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারত। কিন্তু সেখানে খেলতে যেতে রাজি নয় পাকিস্তান। এই সমস্যার কারণে এসিসি এখনও এশিয়া কাপের সূচি কিংবা ভেন্যুর ঘোষণা দেয়নি। এশিয়ান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতা সেপ্টেম্বরে হতে পারে। যা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে এসিসির এই সভায়।