নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জামায়াত, বগুড়ার ৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বগুড়ার সাতটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত ও তাদের নাম ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

গতকাল শনিবার দুপুরে বগুড়া শহীদ টিটু মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী, সাথী ও সদস্যদের প্রীতি সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এ ঘোষণা দেন।

চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন: বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে কেন্দ্রীয় জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জেলা জামায়াতের শূরা সদস্য, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান, বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে দুপচাঁচিয়ার গুণাহার ইউনিয়ন জামায়াতের রোকন ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আবু তাহের, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে জেলা জামায়াতের নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে শেরপুর উপজেলা জামায়াতের আমির দবিবুর রহমান, বগুড়া-৬ (সদর) আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীর সুরার সদস্য ও বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে কেন্দ্রীয় জামায়াতের মজলিসে শূরা সদস্য, কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী।

বগুড়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ও আন্তর্জাতিক ছাত্র ও যুব ফেডারেশন (ইফসু)’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ।

আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা আব্দুর রহীম ও অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। এছাড়া জেলা ও শহর জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের বর্তমান ও সাবেক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন হবে না। সুতরাং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন দিতে হবে।

তিনি বলেন, যারা জামায়াত-শিবিরের দিকে চোখ রাঙানোর চেষ্টা করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। এই দেশ কারো বাপের কিংবা কারো পারিবারিক সম্পত্তি নয়। এই দেশ ১৮ কোটি মানুষের। আর দেশের মানুষ যাদেরকে চাইবে তারাই দেশ শাসন করবে।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, যারা সংস্কার না করেই নির্বাচন দাবি করছেন, তারা মূলত শেখ হাসিনার দুঃশাসনকেই ফিরিয়ে আনতে চান। যারা তাদের নেত্রীর বাড়ির সামনে থেকে বালুর ট্রাক সরাতে রাস্তায় নামার সাহস পায়নি, তারা আজ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করছেন।

সরকারের ভেতরে-বাইরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা সক্রিয় উল্লেখ করে মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক নেত্রীর কথায় অনেকেই উঁকি-ঝুঁকি মারছেন। যতই উঁকি-ঝুঁকি মারেন, লাভ নেই। আর যত উঁকি-ঝুঁকি মারবেন বিপদ ততই বাড়বে। গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা কেবল ফাঁসির আসামি হিসাবেই দেশে ফিরবেন। যারা জামায়াতের নিরপরাধ শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে।

প্রীতি সমাবেশ শেষে বের করা র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে ছাত্রশিবিরের দুই হাজারের বেশি সাবেক নেতাকর্মী অংশ নেন। পরে দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

জামায়াত বগুড়া প্রার্থী

Related Articles

Back to top button