বিদেশি কোম্পানির জন্য ঋণসীমা বাড়লো

- ৪০ শতাংশ মূলধনেই মিলবে ৬০ শতাংশ ঋণ
- বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে ঋণনীতিতে ছাড়
- তিন বছরের বেশি পুরোনো বিদেশি কোম্পানির জন্য ঋণ পাওয়ার সুযোগ
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিদেশি মালিকানাধীন অথবা নিয়ন্ত্রিত উৎপাদন ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে আরও সহজ শর্তে স্থানীয় মুদ্রায় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে পারবে। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, যেসব বিদেশি মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি গত তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে উৎপাদন বা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে, তারা দেশীয় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ঋণ নিতে পারবে। তবে এর জন্য অবশ্যই প্রচলিত ঋণ নীতিমালা ও আর্থিক সূচকগুলো যথাযথভাবে মানতে হবে। যেমন-একক ঋণগ্রহীতা সীমা এবং ঋণ ও মূলধনের অনুপাত। এর আগে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ ও মূলধনের অনুপাত (ডেট-ইকুইটি রেশিও) নির্ধারিত ছিল ৫০:৫০। অর্থাৎ, একজন উদ্যোক্তা ৫০ শতাংশ মূলধন আনলে ৫০ শতাংশ ঋণ নিতে পারতেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অনুপাত বাড়িয়ে ৬০:৪০ করা হয়েছে। এখন থেকে উদ্যোক্তা ৪০ শতাংশ মূলধন আনলে ৬০ শতাংশ ঋণ নিতে পারবেন। ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ বাংলাদেশ সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, অন্যান্য সব শর্ত আগের মতোই বহাল থাকবে। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বলছে, বিদেশি মালিকানাধীন/নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলোর স্থানীয় উৎস থেকে ঋণ গ্রহণে সুবিধা দিতে এই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা বিদেশি কোম্পানিগুলো যাতে সহজে এবং তুলনামূলক বেশি পরিমাণ অর্থ স্থানীয় ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারে, সে উদ্দেশ্যে ঋণ ও মূলধনের অনুপাত (ডেট-ইকুইটি রেশিও) শিথিল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুইটি বিষয় নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এক. বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও সহায়ক আর্থিক পরিবেশ সৃষ্টি করা, যাতে তারা বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী হয়। দুই. দেশীয় উৎপাদন ও সেবা খাতে বিদেশি কোম্পানির সম্প্রসারণ বা আধুনিকায়ন আরও দ্রুত ও সহজ হয়।