অর্থ উপদেষ্টার ব্রিফিং

আগের গভর্নররা সরকারের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন
অনলাইন ডেস্ক: নিজে একসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর থাকলেও বাকিদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, আমার আগের গভর্নররা সরকারের এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন। এ কথা বলার জন্য আমি দুঃখিত (সরি টু সে)। তবে এখন কিন্তু সে অবস্থা নেই।
গতকাল সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি ব্যবহার সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ না করলে কারও সমস্যা হবে না। আন্দোলনকারীদের বলব, আপনারা ভালো করে কাজ করেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে মানুষের সেবা করলে সেখানে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
আন্দোলন প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের মতবিরোধ থাকতে পারে। আমি বহু আগে বলেছি। কিন্তু বন্দর বন্ধ করে দেওয়া, এটা তো প্রাইভেট প্রোপার্টি না। আমার বিস্কুটের ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিলাম বা আমার কোকাকোলার ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিলাম। এটা সরকারের। ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট। যাই হোক, এখন বিষয়টি সমাধান হয়েছে। আমি বলব, এর সমাধান কঠিন নয়। পাঁচজন উপদেষ্টা আছেন, তারা হিয়ারিং করে সমাধান করবেন।
আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকা এনবিআরের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি দুদক সম্পর্কে কোনো উত্তর দেব না। তাদের আলাদা ট্র্যাক আছে, সেটা তাদের কাছেই জিজ্ঞাসা করবেন। এখন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয় না, সেটি আপনারা লক্ষ করবেন। আপনারা ভাবতে পারেন, এ সময়েই কেন দুদক তদন্ত শুরু করল? শুধু এনবিআর নয়, আমার কাছে অনেক লোক আসছে, আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। একটু লস হয়েছে-এসব বলে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রোববার আমি মিটিং করলাম অনেক্ষণ। আজও কয়েকজন ব্যবসায়ী ফোন করে বলেছেন অনেক লস হয়ে গেছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। কিন্তু জাতীয় স্বার্থের একটা সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া, এটা কোনো যুক্তিতে গ্রহণযোগ্য নয়।