সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ৪

অনলাইন ডেস্ক: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়া সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে। রোববার (২২ জুন) রাতে উপজেলার গাদিয়ালা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এসময় অস্ত্রসহ আটক করা হয় চারজনকে।

সোমবার (২৩ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এতথ্য জানায়। নিহত ব্যক্তির নাম মো. আবু সাঈদ (৩৫)। আটককৃতরা হলেন- তাজউদ্দীন, আমির উদ্দিন, হিরণ মিয়া ও জমির মিয়া।

আইএসপিআর জানায়, দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও অস্ত্রের মহড়া চলতে থাকায় জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। রবিবার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একরার হোসেন সমর্থিত সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা যোগে পালানোর চেষ্টা করে। সেনাবাহিনীর টহল দল ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা পার্শ্ববর্তী গাদিয়ালা গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে।

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীকেও লক্ষ্য করে গুলি চালালে আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টাগুলি চালায় ও সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে। পরে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনীর টহল দল ঘটনাস্থল থেকে মো. আবু সাঈদ (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে।

আইএসপিআর আরো জানায়, চারজন সন্ত্রাসী তাজউদ্দীন, আমির উদ্দিন, হিরণ মিয়া ও জমির মিয়াকে আটক হন। স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি একনালা বন্দুক, চারটি পাইপ গান, এক রাউন্ড তাজা গুলি, ছয়টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শেষ হয়। অভিযানে আটককৃত ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের কাছ হতে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।উদ্ধারকৃত মৃতদেহের ময়নাতদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Related Articles

Back to top button