আয়কর আইনের ২১ ধারায় সংশোধন

বিদেশে থাকা সম্পদও আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে
অনলাইন ডেস্ক: বিদেশে সম্পদ গড়ে কর ফাঁকি দেওয়া আর সহজ হবে না, এবার জন্মসূত্রেও বাংলাদেশিদের বিদেশি সম্পদের ওপর নজরদারি জোরদার করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর আইনের ২১ ধারায় পরিবর্তন এনে এমন ব্যক্তিদের করের আওতায় আনার পথ খুলেছে সরকার।
এর আগে শুধু ‘নিবাসী বাংলাদেশি’ হলেই ঐ ধারা কার্যকর করা যেত। ফলে অনেকেই বিদেশে স্থায়ী হয়ে, এমনকি নাগরিকত্ব ত্যাগ করেও রিটার্নে সম্পদ না দেখিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছিলেন। নতুন অর্থবছরের শুরু থেকে ‘করদাতা বা জন্মসূত্রে বাংলাদেশি’ হিসেবে কাউকে শনাক্ত করা গেলেই তার বিদেশি সম্পদের অনুসন্ধান ও জরিমানার সুযোগ থাকছে।
এনবিআরের দাবি, বড় করদাতাকেই এই ধারা সংশোধনের আওতায় আনার চেষ্টা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, অপ্রদর্শিত বিদেশি সম্পদের প্রমাণ মিললে তা অনুসন্ধান করে সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করা যাবে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত বা তার প্রতিনিধির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেও তা আদায় করা হবে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ‘নিবাসী’ শব্দের সীমাবদ্ধতা দূর করতেই এবার ‘জন্মসূত্রে বাংলাদেশি’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে নিবাসী বা অনিবাসী যে-ই হোন না কেন, যদি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি হয়ে থাকেন, বিদেশে থাকা সম্পদ আয়কর রিটার্নে দেখাতে হবে, না হলে শাস্তির আওতায় আসবেন।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনের প্রয়োগই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২২ সালে এই বিধান যুক্ত হলেও বাস্তবে গত তিন বছরে মাত্র একটি অনুসন্ধান হয়েছে। যদিও এনবিআরের গোয়েন্দা ইউনিট সিআইসি কিছু দেশ থেকে সম্পদের খোঁজ পেয়েছে বলে দাবি করেছে।
আয়কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংশোধন আইনকে বাস্তবিক রূপ দিতে পারে, তবে এর সফলতা নির্ভর করবে কঠোর বাস্তবায়নের ওপর। তবে যারা ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, তাদের থেকে আদায় কীভাবে হবে, সে প্রশ্ন এখনো আছে।