লোকসানে বাগান মালিকরা, রাজশাহীতে আমের বাজারে ধস: মনপ্রতি ৫ কেজি বেশি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

অনলাইন ডেস্ক: আমের জন্য দেশ বিখ্যাত রাজশাহী। তবে এবার আমের বাজারে ধস নেমেছে। এ বছর আমের ভরা মৌসুমে ঈদুল আজহা উদ্যাপন হওয়ায় আমের দামে প্রভাব পড়ছে। কমে গেছে দাম। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বাগান মালিকদের নিকট হতে একমন আম ক্রয় করলে অতিরিক্ত পাঁচ কেজি নিচ্ছেন। এতে করে বাগান মালিকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সরেজমিন রাজশাহীর বাঘা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, লকনা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, হিমসাগর ১৪০০-১৬০০টাকা, ল্যাংড়া ১২০০-১৩০০ টাকা, ফজলি ৮৫০-১০০০ টাকা এবং আম্রপালি ১৪০০-১৬০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। বাগান মালিকরা বলছেন, এবার ঈদুল আযহা চলাকালীন সময় লম্বা ছুটি হওয়ার কারণে ঢাকার বাজারে আমের দাম পড়ে গেছে। এ কারণে অত্র অঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও ইচ্ছে মত সুযোগ নিচ্ছে।
স্থানীয় আম ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর রাজশাহী অঞ্চলে আমের উৎপাদন খুবই কম থাকায় অনেক বেশি দামে আম কেনা-বেচা হয়েছে। তবে চলতি বছরে আমের উৎপাদন বেশি হওয়া এবং আমের ভরা মৌসুমে ঈদুল আযহা উদ্যাপন হওয়ায় আমের দাম পড়ে গেছে।
বাঘার আম বাগান মালিক আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, গত বছর সকল আম বিক্রয় হয়েছে ৪০ কেজি মন হিসাবে। কিন্তু এবার আম ব্যবসায়ীরা একমন আমে ৫ কেজি স্থানীয় ভাষায় (ঢলন) অতিরিক্ত ফ্রি আম নিচ্ছেন। এর ফলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও বাগান মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহীর ৯টি উপজেলায় ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর আম বাগানের মধ্যে বাঘা উপজেলায় ৮ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। উপজেলায় উল্লেখযোগ্য আমের মধ্যে- গোপাল ভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া, তোতাপুরি, ফজলি ও আশ্বিনা-সহ হরেক রকম গুটি এবং লক্ষণ ভোগ আম বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য।