কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় দুই নারীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কলেজছাত্র মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলায় দুই নারীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে প্রত্যেক আসামিকে।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ রায় দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত কলেজছাত্র মোহাম্মদ আলী (২২) কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি মধ্যপাড়ার মো. সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি ভৈরব হাজী হাসমত কলেজে বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি কলেজ হোস্টেলে থাকতেন।
এদিকে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার মো. সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের মোছাম্মৎ সেলিনা বেগম, জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের শোভা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদ আলী ও তার বন্ধু মুরাদকে কলেজের গেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় কলেজে প্রবেশ করতে আসা অন্য ছাত্ররা তাদের উদ্ধার করে ভৈরব মাতৃকা হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত মুরাদকে ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পরদিন নিহত মোহাম্মদ আলীর বাবা শামছুদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন ভৈরব থানায়।
এ মামলায় অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি শফিউল জামান ভূঁইয়া।
মামলাটি তদন্তের সময় চারজনকে পুলিশ আটক করলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা। পরে ২০০৮ সালের ৩০ মে চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ভৈরব থানার এসআই আ.আজিজ। চার্জশিট দাখিলের পর এক আসামির মৃত্যু হলে দীর্ঘ শুনানির পর আজ আদালত রায় ঘোষণা দেন।