‘আমার কাছে মনে হয়েছিল পরিচালক যেন ভিক্ষা করছেন’

অনলাইন ডেস্ক: হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সালমা হায়েক। তার ক্যারিয়ারে বেশ কিছু স্মরণীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন, এবং সম্ভবত সবচেয়ে স্মরণীয় চরিত্রটি হচ্ছে ফ্রিডা। এমন কিছু চরিত্র আছে যা তিনি উপভোগ করেছিলেন, কিন্তু দারুন ভয়ও পেয়েছিলেন।

এরকম একটি চরিত্র ছিল উইল স্মিথ অভিনীত ‘ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’-এ রিতা এসকোবারের। এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য কস্টিউম হিসাবে তাকে যে পোশাকটি দেওয়া হয়েছিল সেটা পরতে তিনি তিনি বিব্রত বোধ করেছিলেন। সিনেমাটিতে অভিনয় করতে গিয়ে জীবনের খুব বাজে অভিজ্ঞতারও মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে। সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন সালমা।

তিনি বলেন, সিনেমার শুটিংয়ের সময় আরেকটি জিনিস তার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়েছিল, তা হলো নির্মাতার অদ্ভুত অনুরোধ। এটি পরিচালনা করেছিলেন ব্যারি সোনেনফেল্ড। পরিচালক শুটিংয়ের সময় সালাম হায়েককে এমন একটি শরীরের অংশের গন্ধ নিতে বাধ্য করিয়েছেন, সেটা মনে করলে এখনও তার গান ঘিনঘিন করে।

১৯৯৯ সালের স্টিম্পাঙ্ক অ্যাকশন কমেডিটি মাইকেল গ্যারিসন পরিচালিত ১৯৬০-এর দশকের টেলিভিশন সিরিজ ‘দ্য ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ থেকে রূপান্তরিত। যদিও সিনেমাটি মুক্তির পর বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে উইল স্মিথ এবং কেভিন ক্লাইন দুজন মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যারা আমেরিকান ওল্ড ওয়েস্টের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউলিসিস এস গ্রান্ট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সব ধরণের বিপজ্জনক হুমকি থেকে রক্ষা করার জন্য একসঙ্গে কাজ করেন। তবে, সিনেমা অথ্য হলেও এতে সালমা হায়েকের অভিনয়, তার কৌতুকপূর্ণ স্বভাব এবং পর্দায় উপস্থিতি বেশ প্রশংসা পেয়েছিল।

সাক্ষাতকারে এ সিনেমার স্মৃতিচারণ করে সালমা হায়েক উল্লেখ করেন, সিনেমাটির পরিচালক ব্যারি সোনেনফেল্ড তাকে একটি অদ্ভুত অনুরোধ করেছিলেন। যেহেতু তার চরিত্রটি ছিল অনেকটা কমেডি, তাই তাকে প্রচুর হাস্যরসের মধ্যেই থাকতে হতো। চিত্রগ্রহণের সময় নির্মাতাও অভিনেত্রীকে প্রায়শই হাসাতেন। কিন্তু তিনি কাজটি করতে বাধ্য করতেন সেটা ছিল রীতিমতো অদ্ভুত।

সালমা বলেন, ‘তিনি (পরিচালক) পুরো সিনেমা জুড়ে আমাকে তার বাম কানের গন্ধ নিতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমি বলেছিলাম যে, আমি এটা করব না। কিন্তু তিনি ছিলেন নাছোড়বান্দা। বিভিন্ন রকম ফরমায়েশ ছিল তার। এটা করতে হবে, ওটা করতে, এগুলো বেশ জঘন্য ছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল, তিনি যেন ছয় মাস ধরে ভিক্ষা করছেন, কারণ সিনেমাটি তৈরি করতে ছয় মাস সময় লেগেছে।’

সালমা আরও উল্লেখ করেছেন, যদিও তিনি ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্টে আসলে কখনও নগ্ন ছিলেন না, তবুও সিনেমাটির জন্য যে পোশাকটি পরতে হয়েছিল তা পরে তিনি অনেক বেশি উত্যক্ত এবং বিব্রত বোধ করেছিলেন।

সালমা বলেন, পোশাকটি পরার পর আমি রুম থেকে বের হতাম না। মন চাইতো না। তবু প্রতিদিন ভ্যানিটি ভ্যান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নিজেকে বেশ চাপ দিতে হয়েছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল, এটা অন্য মহিলার সঙ্গে বিছানায় সম্পূর্ণ নগ্ন হওয়ার চেয়েও বাজে অভিজ্ঞতা।’

এদিকে কাজের ক্ষেত্রে, সালমা হায়েককে শেষবার অ্যাঞ্জেলিনা জোলি পরিচালিত ‘উইদাউট ব্লাড’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। এটি ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়।

Related Articles

Back to top button