ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান রুখে দিয়েছে পাকিস্তান, দাবি খাজা আসিফের

অনলাইন ডেস্ক: সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার সময় ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের ইলেকট্রনিক জ্যামিং প্রযুক্তির মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
রোববার এআরওয়াই নিউজের আলোচিত টকশো ‘সওয়াল ইয়েহ হ্যায়’-এ অংশ নিয়ে খাজা আসিফ বলেন, ‘ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের আকাশসীমায় রাফাল যুদ্ধবিমান প্রবেশ করলে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। আমরা ওই বিমানের রাডার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা জ্যাম করে দিই, ফলে ভারতীয় বিমানগুলোকে ফিরে যেতে হয়।’
এই বক্তব্যের মাধ্যমে পাকিস্তান সরকার প্রথমবারের মতো স্বীকার করল, তারা রাফাল যুদ্ধবিমান প্রতিহত করতে সক্রিয়ভাবে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কৌশল ব্যবহার করেছে।
উল্লেখ্য, রাফাল হলো ভারতীয় বিমানবাহিনীর সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান, যা ফ্রান্স থেকে আমদানি করা হয়েছে।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্রের দাবি, এই ঘটনা ঘটেছে ২৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল রাতে। যদি পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ওই রাতে রাফাল বিমানগুলোর যোগাযোগ এবং রাডার সিস্টেম জ্যাম না করত, তবে ভারতীয় বিমানগুলো পাকিস্তানের ভূখণ্ডে আক্রমণ করতে সক্ষম হতে পারত।
পহেলগাঁও হামলা ও সম্ভাব্য সংঘাত
খাজা আসিফ আরও বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা এখনো বিদ্যমান। পহেলগামের ঘটনায় আমরা যদি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি না করতাম, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে পারত’।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও একটি হামলায় ২৬ জন নিহত হন। হামলার দায় প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানের ওপর চাপানোর অভিযোগ তুলেছে ইসলামাবাদ। ভারতের পক্ষ থেকে হামলার তদন্তের কোনো আন্তর্জাতিক প্রস্তাবও এখনো গৃহীত হয়নি।
‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হবে পাকিস্তান
এছাড়াও খাজা আসিফ ঘোষণা করেন, ভারতের একতরফাভাবে ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ বাতিল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। পাকিস্তান অল্প দিনের মধ্যেই বিশ্বব্যাংকের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাবে।
ভারতীয় প্রতিক্রিয়া ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ
পহেলগাঁও হামলার পর ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিল ঘোষণা করে, পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশত্যাগে বাধ্য করে এবং একাধিক পাকিস্তানি টেলিভিশন চ্যানেল, রাজনীতিক এবং খেলোয়াড়দের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়।