জুলাই শহিদ-কন্যার আত্মহত্যা: ক্ষোভ ঝাড়লেন গণ অধিকার পরিষদ নেতা

অনলাইন ডেস্ক: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জুলাই আন্দোলনের শহিদ জসীম উদ্দিনের ১৭ বছর বয়সি কন্যা লামিয়া আক্তারের আত্মহত্যার ঘটনায় হাসপাতাল থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম।

ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। সেখান থেকে রাত দেড়টায় যুগান্তরের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন। শহিদুল ফাহিম বলেন, এ ঘটনায় লামিয়ার মা ও জুলাই শহিদ জসীম উদ্দীনের স্ত্রী রুমা বেগমও অসুস্থ হয়ে পরেছেন। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, লামিয়া আমার এলাকার মেয়ে। তার সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। মেয়েটি অনেক শক্ত মানসিকতার ছিল। ধর্ষণের ঘটনার পরে নিজেই থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছিল। হঠাৎ তার সঙ্গে এমন কী ঘটল যে আজ আত্মহত্যা করলো? এটা তদন্ত করে বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনার দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করার কথা থাকলেও তা দৃশ্যমান নয়। লামিয়া-আছিয়াসহ সকল ধর্ষণের ঘটনার বিচারের জন্য আমাদের আবার জেগে উঠতে হবে। ধর্ষকদের এমন শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যেন তা সারাদেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত নয়টায় ঢাকার শেখেরটেক ৬ নম্বর রোডের বি/৭০ নম্বর বাড়িতে আত্মহত্যা করেন লামিয়া। এর আগে গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শহিদ জসীম উদ্দিনের মেয়ে তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। পথে নলদোয়ানী থেকে অভিযুক্তরা পিছু নেয়। হঠাৎ পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির বাগানে নিয়ে যায় সাকিব ও সিফাত। একপর্যায়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এমনকি তার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। সূত্র: দৈনিক যুগান্তর

Related Articles

Back to top button