২০২৫ সালেও কেন আলোর অভাবে খেলা বন্ধ থাকবে, প্রশ্ন তুললেন তিনি

অনলাইন ডেস্ক: ক্রিকেটের পুরোনো শত্রু বৃষ্টি, কত রোমাঞ্চকর ম্যাচে যে আক্ষরিক অর্থেই পানি ঢেলে দিয়েছে বৃষ্টি, তার ইয়ত্তা নেই। তবে আরও একটা ‘শত্রু’ আছে, যা খুব একটা আলোচনায় আসে না। সেটা হচ্ছে আলোকস্বল্পতা। এবার সেটা নিয়েই আলাপ তুলেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। তার প্রশ্ন, ২০২৫ সালে এসেও কেন আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ থাকবে?
গেল মাসে গত মাসে নিক হকলির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। এরপর এবারই প্রথম জিম্বাবুয়ের হারারে-তে আইসিসি সভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে তিনি জানান আলোর অভাবে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পুরনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান চান। এখনকার প্রতিযোগিতামূলক বিনোদনের জগতে দর্শকদের অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ডেইলি টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন বিনোদন শিল্পে কাজ করছি। এর মানে, আমরা চাই যত বেশি সম্ভব মানুষ ক্রিকেট উপভোগ করুক। আলোর অভাবে খেলা বন্ধ হলে যে বিরক্তি তৈরি হয়, তা আমরা বুঝি। মনে হয় আমরাই একমাত্র খেলা যেখানে এখনও এমনটা ঘটে।’
অনেক সময় স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট থাকলেও খেলা বন্ধ হয়, যখন কৃত্রিম আলো প্রাকৃতিক আলোর চেয়ে বেশি হয়ে যায়। তখন আলো থেকে ছায়া উইকেটে পড়ে এবং আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করে দেন। গ্রিনবার্গ মনে করেন, এমন সিদ্ধান্ত এখন আর সময়োপযোগী নয়।
তিনি বলেন, ‘আমি বাস্তবতা বুঝি এবং কেন খারাপ আলোয় খেলা বন্ধ হয়, সেটাও জানি। এর পেছনে কিছু জটিলতা থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা চাই দর্শকদের জন্য সেরা অভিজ্ঞতা দিতে। খারাপ আলোর কারণে খেলা বন্ধ হওয়া খুবই বিরক্তিকর, বিশেষ করে তখন যখন আমরা ফ্লাডলাইটের নিচে খেলা চালাতে পারি– সেটা হোক ভিন্ন রঙের বল দিয়ে বা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে।’
গ্রিনবার্গের মতে, খেলার স্বার্থে এবং দর্শকদের আনন্দের জন্য এখন সময় এসেছে বাস্তবসম্মত সমাধান খোঁজার।