পাঁচ বছর ধরে ফিটনেস অটুট, মূল্যায়ন হচ্ছে না সালমার 

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের নারী ফুটবলে রেফারি জয়া চাকমার পর সালমা আক্তার মনি ফুটবল মাঠে সহকারী রেফারি হয়েছেন। ফিফার স্বীকৃত সহকারী রেফারি হিসেবে পুনরায় ফিফার ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মনি। এবার ফিফার ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করা বাংলাদেশ থেকে ১১ জনের মধ্যে মনি একমাত্র নারী। খুশি হয়েছেন, আবার ফিফার স্বীকৃতি পাওয়ায়। তবে ভালোভাবে দায়িত্ব পাচ্ছেন না। টানা পাঁচ বছর ধরে ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আসছেন।

কিন্তু সেভাবে তার মূল্যায়ন হচ্ছে না। ম্যাচ পাচ্ছেন না। অনেক বলাবলির পর এবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচটা ম্যাচ পেয়েছেন। সহকারী রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। গত মৌসুমে মাত্র একটা ম্যাচ পেয়েছিলেন, সেটি গোপালগঞ্জে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব-ব্রাদার্সের ম্যাচ ছিল। আর নারী ফুটবল লিগ হলে ডাক আসে মনির। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছাড়া নিজের দেশে ঘরোয়া ফুটবলে কদর নেই ফিফার সহকারী রেফারি সালমা আক্তার মনির।

নারী রেফারি হলে তাকে খুব একটা আলোচনায় আনা হয় না। তাকে দিয়ে সহকারী রেফারির দায়িত্ব পরিচালনা করাটা ঝুঁকি মনে করেন রেফারিরা। ক্লাবগুলো নারী রেফারি শুনলে নাক সিটকান। কখন কী ভুল করে বসে, তা নিয়ে ঝুঁকি নিতে চান না। ক্লাবগুলোর আপত্তি থাকে, আবার যারা রেফারিদেরকে ম্যাচ এলোটমেন্ট করেন তারাও জড়তার মধ্যে থাকেন। নারী রেফারিদের বিষয়টি নিয়ে বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়ালকে জানানো হয়েছে। কীভাবে বিষয়টি সমাধান করা যায় তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি। তবে সিনিয়র রেফারি ও রেফারিদের কর্মকর্তা এবং বাফুফের সভাপতিও উপলব্দি করছেন নারী রেফারিদেরকে কীভাবে আরও বেশি কাজে লাগানো যায়।

মনির আফসোস হচ্ছে ২০২১, ২০২২, ২০২৩, ২০২৪ সালের পর এবার ২০২৫ সালেও ফিফার ফিটনেস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এভাবে ফিটনেস ধরে রেখে বছরের পর বছর কষ্ট করে কী লাভ, যদি ম্যাচ-ই না পাওয়া যায়। দেশের ফুটবলে এত খেলা হচ্ছে, পুরুষ রেফারিরা কাজ করে যাচ্ছেন আর নারী রেফারি হয়ে মনি অবেহলার শিকার হচ্ছেন। মনি বিশ্বাস করেন, তিনিও পুরুষ রেফারিদের মতোই কাজ করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। মনি বলেন, ‘রেফারিংটা প্রফেশনাললি নিতে পারছি না। এভাবে নিজের টাকায় কতদিন চলা যায়। নিজের খরচ কতদিন চলবে। তিন বছর বলে আসছি কোনো লাভ হচ্ছে না।’

Related Articles

Back to top button