বেকারদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে: জি এম কাদের

অনলাইন ডেস্ক: ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির মিছিল থেকে কয়েকটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের নিন্দা জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) অভিযোগ করেছেন, সরকার ঘনিষ্ঠরা বেকার ও ক্ষুধার্তদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।

গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সমর্থন ও ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ তিনি অভিযোগ করেন, ভয়-ভীতি দেখানোর কাজে বেকারদের ব্যবহার করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশে জেলায় জেলায় শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও ধর্মঘট করেন।

প্রতিবাদের এ কর্মসূচি থেকে সিলেট, কক্সবাজার, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কেএফসি ও বাটা জুতার দোকান এবং ইসরায়েলি সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে বিভিন্ন দোকানে হামলা হয়। এসব ঘটনায় ইতোমধ্যে অন্তত ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গ টেনে জিএম কাদের বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে অনেক মানুষ নতুন করে বেকার হচ্ছে। সরকারের কিছু ঘনিষ্ঠ মানুষ বেকার ও ক্ষুধার্তদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। তাদের দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়-ভীতি দেখানোর কাজে বেকারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণেই, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত মিছিল থেকে লুট-পাটের ঘটনা ঘটছে। ভাঙচুর ও আত্মসাতের ঘটনা ঘটিয়ে কিছু মানুষ তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চাচ্ছে। এভাবে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে, আমারা তাদের ভয়-ভীতিকে পরোয়া কারি না।

সরকারকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, সরকারের উচিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো। ফিলিস্তিনিদের স্বার্থে আমাদের কী করতে হবে সরকার তা ঠিক করে দিক। আমরা ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের সব কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকবো। আমরা চাই, ফিলিস্তিনিরা যেন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারে।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আসছে রোববার সারাদেশে জাতীয় পার্টি বিক্ষোভ করবে বলেও ঘোষণা দেন দলের চেয়ারম্যান।

পরে জাতীয় পার্টি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।

Related Articles

Back to top button