মমতার সন্ন্যাস গ্রহণ, রেগে যা বললেন রামদেব

অনলাইন ডেস্ক: চাকচিক্য আর গ্ল্যামার জগৎ থেকে দূরে সরেছেন আগেই। এবার বাস্তবিক রঙিন জগৎ থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন বলিউডের সাবেক অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। একসময়ের আবেদনময়ী এ অভিনেত্রী সন্ন্যাস গ্রহণ করতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) মহাকুম্ভে এসে স্নান করলেন মমতা কুলকার্নি। শুধু তাই নয়, এদিন তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। রাখা হয় তার নতুন নাম ‘মা মমতা নন্দ গিরি’।
মমতা কুলকার্নি জানিয়েছেন, তিনি সন্ন্যাস নিয়েছেন মহাদেব এবং মহাকালীর নির্দেশেই। এই বিষয়ে বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী বলেন, ‘মহাদেব, মহাকালীর আদেশ ছিল। আমার গুরুর আদেশ ছিল। এ জন্য আজকের দিনটি উনি বেছেছেন আমি কিছু করিনি।’
এদিকে মমতার সন্ন্যাস গ্রহণে অবাক হয়েছেন অনেকেই। গ্ল্যামার জগতের আবেদনময়ী এ অভিনেত্রী নিজেকে এভাবে ধর্মকর্মে সমর্পিত করবেন তা হয়তো ভাবেননি অনুরাগীরাও।
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন ভারতের আলোচিত যোগগুরু বাবা রামদেব। হিন্দুস্তান টাইমস জানাচ্ছে, রাগান্বিত স্বরে মমতাকে একরকম খোঁচা মারতেই দেখা গেল এ যোগগুরুকে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বাবা রামদেব বলেন, ‘কেউ কেউ মহামণ্ডলেশ্বর হয়েছেন। কারও নামের সঙ্গে বাবা যোগ হচ্ছে। কুম্ভের নামে এ ধরনের এসব কাজ, বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ঠিক নয়। আসল কুম্ভ হল যেখানে মানবতা থেকে দেবত্বে, ঋষিত্বে, ব্রহ্মে আরোহণ করা হয়। এটি হল শাশ্বতকে অনুভব করা, নিজের মধ্যে থাকা শাশ্বতকে জাগিয়ে তোলা।’
সম্প্রতি এক অভিনেত্রীর (মমতা) মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাবা রামদেব বলেন, ‘একদিনে কখনো সাধু পাওয়া যায় না। এর জন্য বছরের পর বছর তপস্যা করতে হয়। এই সাধুত্ব অর্জন করতে আমাদের পঞ্চাশ বছরও লেগে যায়। একেই বলে সাধুত্ব। সন্ন্যাসী হওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া অত সহজ নয়। আজকাল দেখছি যে কেউ, কাওকে ধরে মহামণ্ডলেশ্বর হয়ে যাচ্ছেন। এমনটা হওয়া উচিত নয়।’
রামদেব আরো বলেন, ‘এবার কুম্ভমেলায় সবাই রিলস বানাতেই ব্যস্ত। ইচ্ছে হচ্ছে আর সাধ্বী হচ্ছেন বা বাবা হচ্ছেন। কুম্ভের উদ্দেশ্য তো তা নয়। কুম্ভ মানে ব্রহ্মজ্ঞানের খোঁজ।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় পর ভারতে ফিরেছেন মমতা কুলকার্নি। তার নাম মাদক মামলায় জড়ানোর পর তিনি দেশ ছেড়েছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে থানে পুলিশ দুই হাজার কোটির একটি মাদক পাচার চক্রের তদন্ত শুরু করে, যেখানে মমতার নাম জড়িয়ে পড়ে। মূলত, মমতা কুলকার্নি ও তার সঙ্গী কথিত মাদক সম্রাট ভিকি গোস্বামীকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। সেই মামলা থেকে মুক্তি পেয়েই সন্ন্যাস নিলেন মমতা।
১৯৯২ সালে রাজ কুমার ও নানা পাটেকরের ‘তিরাঙ্গা’র মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন মমতা কুলকার্নি। নব্বইয়ের দশকে ‘করণ অর্জুন’, ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘সাবসে বাড়া খিলাড়ি’র মতো হিট সিনেমার নায়িকা ছিলেন তিনি।
ভারত অভিনেত্রী