টিকিট পেলেও প্রবাসে যাওয়া হলো না চাঁদপুরের রুবেলের

অনলাইন ডেস্ক: আকাশছোঁয়া স্বপ্ন আর বুক ভরা আশা নিয়ে প্রবাসের উদ্দেশ্যে ১১ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিমানে ওঠার কথা তার। কিন্তু হলো না স্বপ্ন পূরণ। বাড়ি ফিরলো রুবেল হাসান রাফির নিথর মরদেহ।
নিহত রাফির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত রাফি ১ ফেব্রুয়ারি তার নিজ বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা থেকে কর্মস্থল নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ছিল। ঐ দিন নোয়াখালী না গিয়ে চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ এলাকায় নিউ হোটেল রূপসী নামের একটি আবাসিক হোটেলে অজ্ঞাত এক বন্ধুর সাথে রাত্রি যাপন করে।
হোটেল ম্যানেজারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাফির সাথে রাত্রি যাপন করা তার ওই অজ্ঞাত বন্ধু ২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাতটার দিকে হোটেল ত্যাগ করে। দীর্ঘ সময় পর দুপুরের দিকে হোটেলের নিয়মিত টেক আউট তল্লাশিকালে স্টাফদের নজরে আসে ৯ নম্বর কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকা রাফির লাশ। বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে জানায়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরত হাল করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পুলিশ হোটেল এবং আশপাশের সিসি ক্যামেরাগুলো যাচাই করে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত কোন হত্যাকাণ্ড?
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে প্রতিমান হওয়ায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনার আগের দিন ভিকটিমের সাথে তার এক বন্ধু হোটেলে থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কেউ জড়িত আছে কিনা আমরা খতিয়ে দেখছি। ভিকটিম এবং তার ঐ বন্ধুর মোবাইল এখনো নিখোঁজ রয়েছে, আমরা ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। ঘটনার কোন তথ্য ও সূত্র পেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়: সারাদেশ চাঁদপুর