চলুন হিংসা ভুলে দেশকে সামনে নিয়ে যাই: মির্জা ফখরুল
অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৫ বছরের ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অনেক রক্তপাত হয়েছে। আমরা আবার একটা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। চলুন সবাই হিংসাবিদ্বেষ ভুলে নতুন বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। তরুণ প্রজন্ম এখন অনেক এগিয়ে, তারা অনেক বেশি প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অনেক বেশি তারা জানে আর এ জানাটার কোনো শেষ নেই। তরুণদের এখন সবচেয়ে বেশি লেখাপড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া দরকার।
গতকাল শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢালী আম্বার রিসোর্টে ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা কলেজ একসময় উঁচু একটা প্রতিষ্ঠান ছিল। স্বাধীনতার পর আমার ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করার সুযোগ হয়েছিল। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা আমার জীবনে একটা প্রাচীর হয়ে রয়েছে। এখানে এসে আমি অনেক আগে যারা কলেজ থেকে বেরিয়ে গেছে, তাদের পেয়েছি। সেই সময় আর এখনকার সময় অনেক পার্থক্য। এখন অনেক চিন্তাভাবনা, প্রযুক্তি এবং জেনারেশনে বিরাট একটা পার্থক্য আছে।
তিনি বলেন, আমি গর্বিত মনে করি যে, আমি ঢাকা কলেজের ছাত্র। এই কলেজে যা শিখেছি, দেখেছি এবং ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি-সবমিলিয়ে ঢাকা কলেজের জীবনটা আমার জন্য আনন্দময় ছিল। সেখান থেকেই আমার জীবনের চমৎকার সময়টা শুরু হয়েছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আমাদের আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমার বিশ্বাস, ঢাকা কলেজ নেতৃত্ব দেবে। এ কলেজের ছাত্ররা মেধার ভিত্তিতে এখন আরও বেশি সময় দেবে। সেই সময়টা এখন চলে এসেছে।
ঢাকা কলেজের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কলেজের সাবেক ভিপি, কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, সাবেক এমপি ও ভিপি বরকত উল্লাহ তুলা, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী প্রমুখ।
রিইউনিয়নকে কেন্দ্র করে রিসোর্টটি মিলনমেলায় রূপ নেয়। দিনব্যাপী খাওয়াদাওয়া, আনন্দফুর্তি ছাড়াও কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি ও কর্নিয়া। সূত্র: দৈনিক যুগান্তর
বিএনপি মির্জা ফখরুল
