‘ফায়েজ বেলালের প্রতিটা অভিযোগ মিথ্যা’, মুখ খুললেন রোজার ভাই
অনলাইন ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় গায়ক অভিনেতা তাহসান খান। গত শনিবার সন্ধ্যায় মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের গলায় মালা দিয়েছেন তিনি। পারিবারিক আয়োজনেই সম্পন্ন হয়েছে তাহসান-রোজার বিয়ে।
বিয়ে সম্পন্ন হলেও বিনোদন অঙ্গন থেকে শুরু করে নেট পাড়ায় তাহসান ও রোজার বিয়ে নিয়ে আলোচনা এখনো তুঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলেই এ উন্মাদনার প্রমাণ মিলছে। গায়ক তাহসান ও রোজা আহমেদের বিয়ের ছবি ঘুরছে হাজারো পোস্টে। আমেরিকা প্রবাসী মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে বিয়ের পর অভিনেতার স্ত্রীর অতীত নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে।
যার মধ্যে ফায়েজ বেলাল নামের এক যুবক নিজেকে রোজার প্রাক্তন প্রেমিক দাবি করে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবি, ২০১৬ সাল থেকে রোজার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। গত সাড়ে তিন মাস আগে এই সম্পর্ক ভেঙে গেছে। এই ব্রেকআপের কারণও ছিল তাহসান!
শুধু তাই নয়, ওই যুবক আরও দাবি করেন- সম্পর্কে থাকাকালীন সময়ে রোজা তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ নিয়েছেন। যে কারণে সে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
বিষয়গুলো নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখন ফায়েজের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন রোজার ছোট ভাই উৎস আহমেদ। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ফায়েজ বেলালের সঙ্গে কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশটের একটি ভিডিও পোস্ট করেন উৎস। সেখানে নিজের বোনের উপর আনা ফায়েজের সব অভিযোগকে ‘মিথ্যাচার’ বলে দাবি করেন তিনি।
স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ফায়েজ বেলালকে ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালের দুপুর ৩টা ১১ মিনিটে বার্তা পাঠিয়েছিলেন উৎস। সেখানে কথোপকথনে উৎস লেখেন, ‘ভাইয়া, রোজা আপুর কি টাকা নাকি তোমার কাছে?’ জবাবে ফায়েজ লেখেন,‘না ভাই, সব একাউন্টে দিয়ে দিছি।’ উৎস আবার লেখেন, ‘কিসের নাকি টাকা পায় বললো আমারে’, জবাবে ফায়েজ লেখেন,‘যেদিন এফবি দিয়ে লিভ নিছি ওইদিনই দিয়ে দিছি’, আবারও উৎস লেখেন, ‘তোমারে দিছিলো নাকি কিসের’, জবাবে ফায়েজ লিখে পাঠান, ‘হ্যাঁ, দুই লাখ। ওইটাও এড করে দিছি ভাই’। উৎস আবার লিখেছেন, ‘ওহ, ব্যাংকে দিছো?’ জবাবে ফায়েজ লিখে, ‘হ্যাঁ ভাই, তোমরা কেউ তো দেশে নাই, সো ব্যাংক ছাড়া কোনো অপশন ছিলো না। এখন সব পেইড।’
স্ক্রিনরেকর্ডিংয়ের সেই ভিডিও পোস্ট করে উৎস লেখেন, ‘ফায়েজ বেলালের ভাইরাল হবার আকাঙ্ক্ষা থেকে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ হিসেবে এই স্ক্রিনশটের প্রকাশ। তার প্রত্যেকটা অভিযোগ মিথ্যে। এই ফায়েজ বেলাল আপুর অগোচরে আপুকে চিট করেছে বারবার এক মেয়ের সাথে এটাই ছিল মেইন কারণ ব্রেকআপের। এর প্রমাণ দিয়ে মেয়েটির রেপুটেশন নষ্ট করতে চাচ্ছি না। এই ঘটনা বরিশালের সবার জানা।’
রোজা তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ নিয়েছেন বলে ফায়েজ যে দাবি করেছে, সেটিকে পুরোপুরি মিথ্যাচার দাবি করে উৎস লিখেছেন, ‘আমি রোজা আপুর আপন ছোট ভাই হিসেবে ফায়েজ বেলাল এর সাথে যোগাযোগ করে আপুর দেয়া টাকা ফেরত চেয়েছি। তাদের বেশ অনেক আগে ব্রেকআপ এর পরে আপু যোগাযোগ রাখেননি কিন্তু ফায়েজের কাছে পাওনা টাকা কাউকে না কাউকে চাইতে হবে বলে আমি যোগাযোগ রাখি।’
রোজার ছোট ভাই উল্লেখ করেন, ‘স্ক্রিন রেকর্ডিং এ স্পষ্ট দেখতে পাবেন, টাকাটা ফায়েজ বেলাল অনেকদিন ধরে ধীরে ধীরে ফেরত দেন। স্ক্রিন রেকর্ডিং এ দেখতে পাবেন সে তার ভেরিফাইড আইডিতে স্পষ্ট দেখতে পাবেন সে টাকাটা আস্তে আস্তে ফেরত দেন। যেখানে আমার বোন তাকে টাকা ধার দিল এবং ফেরত নিল সেখানে তার এমন মিথ্যাচার একটা গর্হিত অপরাধ।’
সবশেষ উৎস বলেন, ‘আমার বোন আমাদের ছায়ার মত আগলে রেখেছে, আপু আমার বাবার সমান। তার ওপর এমন মিথ্যাচারের প্রতিবাদ আমাকে করতেই হবে।’