এমপি কোটায় আনা বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত  

অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সরকারের এমপিদের নামে আনা ৪২টি পাজেরো গাড়ি নিলামের পরিবর্তে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ছাড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আয় হতে পারে বলে আশাবাদী এনবিআর।

চট্টগ্রাম বন্দরের কারশেডে গত ৫ মাস ধরে আটকা পড়া এই গাড়িগুলো এমপি কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা হয়েছিল। তবে, গাড়িগুলোর আমদানিকারকরা সংসদ সদস্যদের পালিয়ে যাওয়ার কারণে শুল্ক ছাড়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্তে আমদানিকারকদের শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে গাড়িগুলোর ছাড় দেওয়া হবে, আর না হলে তা নিলামে তোলা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমদানিকারকরা যদি শুল্ক পরিশোধ করেন, তবে গাড়িগুলোর ছাড় দেওয়া হবে, অন্যথায় সেগুলি নিলামে তোলা হবে।

এনবিআরের এই সিদ্ধান্তে নতুন আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিডাররা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ জানান, যদি রাজস্ব বোর্ডের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে বিডারদের কিছু বলার নেই। তবে, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এমপিরা না থাকায় গাড়িগুলোর নিলাম হওয়া উচিত।

জাপান থেকে আমদানি করা প্রতিটি গাড়ির মূল্য ১ থেকে দেড় কোটি টাকা, তবে শুল্কসহ এই গাড়ির বাজারমূল্য ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকায় পৌঁছাবে। এত চড়া দামে গাড়িগুলো বিক্রি হওয়া কঠিন বলে মত দিয়েছেন গাড়ি ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ১০ কোটি টাকা মূল্যবৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও কেউ গাড়ি ছাড় করাবে বলে মনে হয় না। দ্রুত নিলাম আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Related Articles

Back to top button