হিন্দুসেনার আপত্তি সত্ত্বেও আজমির শরীফে ‘চাদর’ পাঠালেন মোদি
অনলাইন ডেস্ক: ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতির উরস চলাকালীন আজমির শরীফ দরগায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘চাদর’ পাঠালেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘ঐক্য ও শ্রদ্ধার প্রতীক’ হিসাবে ২০১৪ সাল থেকে দরগায় চাঁদর পাঠিয়ে আসছেন মোদি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আজমির দরগাহর উত্তরসূরি এবং অল ইন্ডিয়া সুফি সাজ্জাদানশীন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতি মোদির পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি ‘সংহতি, উন্নয়ন, বিশ্বাস এবং সকলের প্রতি শ্রদ্ধা’ আদর্শের প্রতি মোদির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতী বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ঐতিহ্য দেশের প্রতিটি প্রধানমন্ত্রী সমুন্নত রেখেছেন। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নরেন্দ্র মোদি ধারাবাহিকভাবে ভক্তি ও শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে চাদর পাঠিয়েছেন। এটি সমস্ত ধর্ম, সম্প্রদায় এবং সুফি সাধকদের সম্মান জানানোর ভারতের গভীর সংস্কৃতিকে প্রতিফলিত করে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) মোদির চাদর তুলে দেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সুফি সাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বার্ষিক উরস উদযাপনের সময় এটি তুলে দেওয়া হয়।
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ভক্ত আজমির শরীফ দরগা ভ্রমণ করেন।
সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতি বলেন, যারা ধর্মের নামে বিভেদের বীজ বপন করতে চায়, তাদের কাছে এটি একটি স্পষ্ট বার্তা। এটি আমাদের মিলিত ঐতিহ্য এবং সম্মিলিত সম্প্রীতির পুনঃনিশ্চয়তা।
এদিকে হিন্দুসেনা নামের ভারতের একটি সংগঠন দাবি করেছে, আজমীর শরীফের দরগার জায়গায় একটি শিব মন্দির রয়েছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। এমন আবহে মোদির এবারের চাদর পাঠানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূণ বলে মনে করছে দেশটির রাজনৈতিক মহল।
মামলাকারী হিন্দুসেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত আলাদা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি লিখে আজমির শরীফের বার্ষিক উরসে চাদর না পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু মোদি সেই অনুরোধে কান না দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও দরগায় চাদর পাঠালেন।