চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল, বাবা, তুমি দেখে যাও…
অনলাইন ডেস্ক: শনিবার বিয়ে সেরেছেন জনপ্রিয় গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান। সেই খবর এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। ভক্তদের জল্পনা থেমে নেই। আলোচিত এই জুটি এখন আলোচনার শীর্ষে। এর মধ্যে নতুন করে আলোচনায় তাহসানের স্ত্রী রোজা আহমেদের গত বছরের ফেসবুক পোস্ট। যে পোস্টে উঠে এসেছে রোজার সংগ্রামের গল্প। কী লিখেছিলেন তাহসানের স্ত্রী?
গত বছর ৪ জুন নিউইয়র্ক শহরে ছিল রোজার স্বপ্ন পূরণের দিন। সেদিন তিনি রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার অ্যান্ড বিউটি কেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ করেন। একটি সেলফি প্রকাশ করে সবার কাছে দোয়া এবং নিজের পথচলার বন্ধুর পথের কথা তুলে ধরেন।
আলোচিত সেই ফেসবুক পোস্টে রোজা লিখেছেন, ‘সেলফিটা একটু আগেই তুলেছি। সাধারণত আমার অনেক ছবি তোলা হয় কিন্তু আজ এই সেলফিটা তোলার সময় চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। অনেক সময় ধরে কাঁদলাম। কিন্তু কী মনে করে কাঁদছি বা কেন কাঁদছি, তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমি মা–বাবার প্রথম সন্তান, তাই সবচেয়ে আদরের ছিলাম সবার। আর বাবা আমাকে সব সময় বলত, “আমার ছোট্ট পরিটা কই রে?’ সে সময় বরিশাল শহরে আমাদের পরিবারের বেশ প্রভাব ছিল। ছোটবেলায় কখনো কমতি পাইনি। এর বাসায় দাওয়াত, তার বাসায় দাওয়াত আর যেতেই হবে কারণ, আমাদের ছাড়া দাওয়াত অসম্পূর্ণ হবে। এমনও দিন গেছে, দিনে চারটা দাওয়াতেও অংশ নিয়েছি। শুধু দেখা করে আসার জন্য।’
রোজা শৈশবে বাবাকে হারান। তারপর তাঁকে সমাজের নানা বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সমাজের নানা ঘটনা তাঁকে আহত করে। ‘হঠাৎ বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। অভিযোগ তো অনেক জমা আছে, বাবার সেই ছোট্ট পরির, কিন্তু অভিযোগ কার কাছে করব? বাবা শুধু আমাদের ছেড়ে চলে যায়নি, সঙ্গে যেসব মানুষ আমাদের এত সম্মান করতেন, তাঁদের ভালোবাসাও চলে গেল। আর সেই দিনই প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম, যে ভালোবাসা আমরা পেয়েছি, তা সবই বাবাকে ঘিরে আর সঙ্গে অনেক অনেক স্বার্থ।’
রোজা আরও কষ্টের কথা বলতে গিয়ে লিখেছেন, ‘বাবা চলে যাওয়ার ঠিক দুই মাসের মাথায় আমার এক রিলেটিভের বিয়ে। আমরা অনেক ঘনিষ্ঠ ছিলাম একে অপরের, কিন্তু বিয়েতে দাওয়াত পেলাম না। যে রিলেটিভরা সেই বিয়েতে অংশ নিয়েছে, সবাই ফোন করতে শুরু করল মাকে। কেন আমরা গেলাম না, কোথায় আমরা? বরিশালে আছি কি না, এই–সেই। সেদিন সারা রাত বসে দেখেছি, মায়ের সেই সরল মনের কান্না। আপনারা লেখাটা পড়ে ভাবতে পারেন, দাওয়াত পাইনি বলে কাঁদছি? কিন্তু দাওয়াতের জন্য নয়, একই দালানে সবাই আনন্দ করছে, আমি, মা আর ছোট ভাই উৎস তখন বাসার এককোণে। খুব চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল, বাবা, তুমি একটু দেখে যাও, যাদের জন্য এত করেছ, তারা আমাদের সব ফিরিয়ে দিচ্ছে।’
বাবা মারা যাওয়ার পর একসময় অর্থকষ্টে দিন কাটতে থাকে রোজাদের। রোজার ভাষ্যে, তাঁরা দুই ভাইবোন তখন ছোট। সে সময় বাবার সম্পত্তিও বুঝে নেওয়ার সাহস হয়নি। তাঁর মা–ও কোনো দিন অধিকারের প্রশ্নে সাহস করে সম্পত্তি চাইতে পারেননি। রোজা লিখেছেন, ‘আমাদের পড়াশোনার খরচ তখন একদম হিসাব করে টায় টায় মায়ের হাতে দেওয়া হতো। তাই কিছু খেতে ইচ্ছে করলে বলতাম না। চাইতাম, উৎস যেটা চায়, সেটা যেন আপাতত পায়। আমার দিক থেকে একটু কম হলেও সমস্যা নেই।’
সে সময় একের পর এক রোজার বিয়ের প্রস্তাব আসে। তখন সাহস করে রোজা প্রস্তাবগুলো নাকচ করে দেন। তাঁর কথায়, ‘আমার বয়স কম আর বাবা মারা গিয়েছে, কিন্তু আমার স্বপ্ন তো মারা যায়নি! ওই দিন কথাটায় খুব মাইন্ড করেছিলেন আমার কাছের লোকেরা। বড়দের মুখে মুখে কথা বলি, অনেকেই বলতে থাকেন, আমি আর মানুষ হব না। আর সেই থেকেই রটানো হয়, সারা দিন নাকি ছেলেদের সঙ্গে ঘুরি, আমার বন্ধুবান্ধব সার্কেল ভালো না—আরও কত কী! মেয়ে তো নিশ্চয়ই প্রেম করে আর না হলে এত ভালো প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়? এমন কথাও বলেন কেউ কেউ। আর প্রতিদিন এভাবেই বাসায় অভিযোগ আসা শুরু করে।’
রোজা আরও লিখেছেন, ‘আমার কথা বলায় সবাই এইভাবে রিঅ্যাক্ট করবে বুঝতে পারিনি। আমার মা সব অভিযোগ শুনতে শুনতে বলল, “তুই আমাকে ছুঁয়ে বল, এই সব অভিযোগ সত্যি কি না?” আমি মাকে ছুঁয়ে বললাম, সব মিথ্যে। আমি তো স্কুল আর বাসা বাদে কোথাও যাই না। এই বলে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করি। সেদিনের পর মা আমার সঙ্গে কোচিংয়ে যেত। আবার এসে বাসার সবার জন্য রান্না করতে হতো, খুব কষ্ট হয়ে যেত তার। তখন নিজের কাছে মনে হতো, আমি সবার জন্য একটা বোঝা, সব ক্ষেত্রেই আমার দোষ। দিনের পর দিন এভাবেই চলতে থাকে। হঠাৎ দাদাভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন, আর সেই থেকে আমার সঙ্গে কোচিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে মা। কারণ, তাঁদের সেবাযত্ন করতে হতো মাকেই।’
সে মময়ই একা একা চলা শুরু করেন রোজা। একসময় শুরু করেন অল্প টাকায় টিউশনি। বাদ দিয়ে দেন কোচিংয়ে পড়া। ওই সময়ই লুকিয়ে দুই শিশুকে পড়াতেন। সেই টাকা জমিয়ে ছোট ভাই উৎসকে ঘুরতে নিয়ে যেতেন। কিছু কিনে দিতেন। নিজেও ফেসবুক চালাতে থাকেন। রোজা লিখেছেন, ‘বাবার যে আদর আমি পেয়েছি, ও সেই আদর পায়নি। তাই চেষ্টা করতাম, কখনো যেন আফসোস না করে। এভাবেই তিন মাস চলল। হঠাৎ বাজারে দাদাভাইয়ের সঙ্গে স্যারের দেখা। স্যার বললেন, রোজা আসে না কেন? শুরু হয়ে গেল বাসায় বিচার–সালিস। ফলাফল কোচিং ও টিউশনি বন্ধ হলো।’ এখন স্কুল আর বাসা।
স্কুল থেকেই নাচে বেশ ভালো ছিলেন রোজা। নাচে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারও পেয়েছিলেন। সে সময় থেকেই নিজেই সাজতেন। অন্য শিশুদের সাজিয়ে দিতেন। সাজে তাঁর ভীষণ আগ্রহ ছিল। এভাবেই হঠাৎ করে ব্রাইডাল মেকআপে আসা। ‘আমার এক দূরের কাজিনের বিয়ের প্ল্যান ছিল ঢাকা থেকে আর্টিস্ট আনবে। তখন বরিশালে বেশির ভাগ মানুষ ফ্রিল্যান্সার শব্দের সঙ্গে পরিচিত ছিল না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সে ঢাকার আর্টিস্ট আনতে পারেনি।’ সেই প্রথম ব্রাইডাল মেকআপের সুযোগ পেয়ে যান রোজা। ভয়ে ভয়ে করা সেই মেকআপ নিয়ে চিন্তার শেষ ছিল না। পরে অবশ্য সবাই প্রশংসা করতে থাকেন।
পরবর্তী সময় অনেকেই রোজাকে ব্রাইডাল মেকআপের জন্য ডাকতে থাকেন। তিনি লিখেছেন, ‘মাত্র দুই হাজার টাকা করে নিতাম। তবে সেই বাসার সমস্যায় আবার পড়লাম। দাদাভাইকে বলা হলো, আমি পারলারের কাজ করি, পারলারের মেয়ে আমি। আমি বললাম, হ্যাঁ, তো? পারলারে যারা কাজ করে, ওরা কি মানুষ নয়? তাদের কি পরিবার নেই? দেখো, তোমাদের মতো একেকটা পরিবার চালায় তারা। আমি তাদের সম্মান করি। সেদিন সবাই অনেক উচ্চকণ্ঠে আমাকে বলল, “এই মেয়ে আমাদের মানসম্মান ডোবাবে।” সেদিন অনেক জেদ হলো! শুরু করলাম ফ্রিল্যান্স মেকআপ আর্টিস্টের কাজ। বরিশাল শহরে কেউ এই টার্মের সঙ্গে পরিচিত ছিল না, কিন্তু এখন শত শত মেয়ে ফ্রিল্যান্স মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছে দেখে খুব গর্ব হয়।’
দুপুরে বিয়ে থাকায় বেশির ভাগ সময় স্কুল থেকে চলে যেতেন মেকআপ করাতে। প্রয়োজনীয় সবকিছু ব্যাগেই থাকত। রোজা লিখেছেন, ‘স্কুল থেকে চলে যেতাম ক্লায়েন্টের বাসায়, ছুটির সময় চলে আসতাম বাসায়। আর সেই খবর বাসায় চলে আসে। আমাকে যদি কিছু বলতে আসে, আমি কাউকে ছাড় দেব না। তাই এবার আর আমাকে না বলে আমার মাকে অনেক মন্দ বলে। মায়ের সেই সরল কান্না যতবার দেখেছি, নিজের জেদকে আরও শক্তিশালী করেছি। নিজেকে তৈরি করেছি মানুষ হিসেবে, একবারও নারী হিসেবে নয়। ব্রাইডের পরিমাণ বাড়তে থাকলে বরিশাল থেকে পুরো দেশে নাম ছড়িয়ে পড়ল। বাসায় টাকাপয়সা দিয়ে অবদান রাখা শুরু করলাম। বাহ! এবার আমার পরিবারের সবাই আমাকে নিয়ে গর্ব করছে, পরিচয় দিচ্ছে। আমি সবার মধ্যমণি। কিন্তু ওই দিন বাবার কথা খুব মনে পড়ছিল যে বাবা, তোমার মৃত্যুর পর যতটা কষ্ট পেয়েছি, তোমাকে হারিয়ে তার চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে।’
পরবর্তীকালে রোজা ব্রাইডাল মেকআপের ভিডিও দিয়ে ভ্লগিং শুরু করেন। সেগুলো ছড়িয়ে পড়তে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ঢাকা থেকেও ডাক পড়ে। পরে তিনি ঢাকায় এসেও মেকআপের কাজ করতে থাকেন। রোজা লিখেছেন, ‘এই যাতায়াত করতে গিয়ে রাস্তাঘাটে কত মানুষের কথা শুনেছি, তবে আমাকে কেউ নারী বলে হয়রানি করার সাহস পায়নি। কারণ, আমার চোখ তাদের বলে দিত যে আমি জীবনে কাউকে ছাড় দিই না, দেব না। তা বাসায় হোক আর বাইরের হোক।’
তাহসান বললেন, ‘শুভ কাজটা আমরা আজ সেরেছি’
ঢাকার কাজ বাড়তে থাকে। রোজা তখন বিবিএতে পড়াশোনা করতেন। পড়াশোনা ও কাজ একসঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটা ছোট বাসা নিয়ে স্টুডিও তৈরি করেন। সেই বাসাও একসময় ছেড়ে দিতে হয়। পরে বড় পরিসরে বাসা নেন। ‘এভাবেই রোজাস ব্রাইডালকে ক্লায়েন্টের দোরগোড়ায় নিয়ে যাই। ঢাকা-বরিশাল সব সময় ক্লায়েন্ট। পরে ফ্লাইটে যাতায়াত শুরু করি, এমন হয়েছে, সকালে বরিশালে কাজ করে দুপুরে ঢাকায় ক্লায়েন্ট করেছি। আর এর সব সম্ভব হয়েছে, মনের মধ্যে একটা জেদ ছিল, কারণ এই সেক্টরের মেয়েরা অনেক অবহেলিত। আমাকে যে কথা শুনতে হয়েছে, আমি আর একটি মেয়েকেও সেই কথা শুনতে দিতে চাই না।’ লিখেছেন রোজা।
পরে রোজা তরুণীদের আগ্রহী করতে ব্রাইডাল মেকআপ নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। এক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি মেয়েকে মেকআপ শেখান। এরপর দেশের ক্যারিয়ার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পালা। বড় মামার সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ‘উৎস আর মায়ের জন্য দেশ ছাড়তে হবে। নিজের সাজানো সংসার বলা যায়, তা ছেড়ে যেতে যেমন লাগে, দেশ ছেড়ে আমার যেতে ঠিক তেমন লেগেছে। একটু একটু করে এ দেশে নিজের অবস্থান তৈরি করেছি আর সেই সব ছেড়ে যাব? মজার কথা হলো, যেদিন আমার ফ্লাইট, ওই দিনও আমি কাজ করি। দেশে আমার সার্কেলটা খুব ভালো, দেশ ছাড়ার সময় আমি নিজের লাগেজ পর্যন্ত গোছাইনি। যা কিছু করার, সব ওরা করেছে।’ লিখেছেন রোজা।
রোজা আরও লিখেছেন, ‘অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ নিয়ে চলে এলাম যুক্তরাষ্ট্রে। এখানে আমি আসার আগেই বার্গারের দোকানে কাজ থেকে শুরু করে সব কাজ আমার জন্য দেখা হয়েছিল, আমাকে না জানিয়েই। আমি তো করবই না, ওই যে, আমি খুব জেদি! শুরু করলাম নিউইয়র্কে প্রচারণা। মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ক্লায়েন্ট পেলাম। আস্তে আস্তে ভারতীয়, পাকিস্তানের প্রবাসীরাও আমার কাছে সাজা শুরু করল, ক্লাস শুরু করালাম। নিজেকে আবার এই দেশেও প্রতিষ্ঠিত নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড় করালাম। কসমেটোলজির মাধ্যমে ত্বক, চুল ও মেকআপসংক্রান্ত পড়াশোনা করলাম কলেজে। আর সেখান থেকেই আজকের স্টুডিও। কসমেটোলজির ওপর নতুন করে আবার পড়াশোনা, লাইসেন্স নেওয়া সব চ্যালেঞ্জ নতুন করে আবার ফেস করেছি। সেলুনে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও মানসম্পন্ন পণ্য দিয়ে সাজিয়েছি সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট।’
রোজা লিখেছেন, ‘কথাগুলো খুব আবেগ নিয়ে লেখা। শুরুতেই বলেছিলাম, আমার মা একজন সরল মানুষ। বাবা মারা যাওয়ার পর জীবনে উচ্চস্বরে কথা বলতে পারেনি, তাকে কখনো হাসতে দেখিনি। আর আজ সেই মা উচ্চগলায় সবাইকে ফোনে বলে, ‘হ্যাঁ, আমার বড় মেয়ে রোজাই তো আমাকে দেখছে। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ অনেক ভালো রাখছেন আমাদের।’ সে হয়তো স্বপ্ন দেখতে পারেনি কিন্তু তার মেয়ে হিসেবে একটু হলেও নতুনভাবে বাঁচতে শিখতে সাহায্য করেছি। আজ খুব চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে, বাবা, তোমার সেই ছোট্ট পরি অনেক বড় হয়েছে! আমার সব স্বপ্নের কেন্দ্রবিন্দু তুমি, বাবা।’ লিখেছিলেন রোজা।
দীর্ঘ পোস্টের শেষে রোজা আরও লিখেছেন, ‘আজ যখন সেলফিটা তুলি, আমি একটার বেশি ছবি তুলতে পারিনি। কারণ, এত কান্না আসছিল! আমি শুধু একটা কথা বলব, আপনাদের ভেঙে দেওয়ার জন্য হাজার মানুষ থাকবে, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনাকে একাই চলতে হবে। নিজেকে এমনভাবে গড়তে শিখুন যে যতবার বাধা আসবে, ততবার হাসিমুখে মোকাবিলা করুন, যাতে বাধা দেখলেও আপনাকে ভয় পায়।’