রাউজানে সংঘর্ষ

পদ হারালো মিরসরাই বিএনপি-যুবদলের শীর্ষ পাঁচ নেতা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
অনলাইন ডেস্ক: মিরসরাইয়ে বিএনপি-যুবদলের শীর্ষ পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাখ্যান করে মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া বাজার, করেরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপির একাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া অপর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন, সদ্য বিলুপ্ত হওয়া চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী, মিরসরাই উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ও জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়, আপনি দলের ভেতর সংঘাত ও হানাহানি সৃষ্টি করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপিকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। আপনার অসহিষ্ণু আধিপত্যকামী মনোভাবের জন্য দলের ভেতরে দ্বন্ধ ও সহিংসতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আপনাকে বারবার সর্তক করা হলেও আপনি দলের ভেতরে বিশৃঙ্খলা অব্যাহত রেখেছেন। সুতরাং দলের গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এদিকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাখ্যান করে মিরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া বাজার, করেরহাট বাজারে রাত ১০টায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলা-ভাঙচুরের শিকার হয়েছে পুলিশের একটি পিকআপ, গোলাম আকবর খন্দকারের একটি জিপ গাড়ি এবং পুড়িয়ে দেওয়া হয় তিনটি মোটরসাইকেল। সংঘর্ষে অন্তত গোলাম আকবর খোন্দকারসহ অন্তত ৩০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের পর সেদিন রাতেই মিরসরাই বিএনপির শীর্ষ পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি।