কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও সক্ষম হিসাবে গড়ে তুলতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ, চুক্তি স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। নতুন বছরের প্রথম দিনে বিগত বছরের কার্যক্রমের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য যাতে বৃহত্তর স্বার্থ বিপন্ন না হয় সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ২০২৪ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দরে ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৭ টিইইউ কনটেইনার এবং ১২ কোটি ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার ১৪ টন কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে।

গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে গত এক বছরে জাহাজ ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের চিত্র এবং প্রবৃদ্ধির তথ্য দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও সচিব ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩ দশমিক ২৭ মিলিয়ন টিইইউ (২০ ফুট সমমানের) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। ১২৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন কার্গো বা পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে। একইভাবে জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৭টি। ২০২৩ সালের তুলনায় কনটেইনারে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, কার্গোতে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বহির্নোঙরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল ১ দিনে নেমে এসেছে।

বন্দর চেয়ারম্যান আরও জানান, ২০২৪ সালে এক বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ হাজার ৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। গত বছরের রাজস্ব আয় ছিল ৪ হাজার ১৬৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে নিলামযোগ্য ১০ হাজার কনটেইনার ও শেডে ২৯৭টি গাড়ি রয়েছে। এসব দ্রুত নিলাম করে বন্দরের ইয়ার্ড ও শেড খালি করার প্রচেষ্টা চলছে। এছাড়া বর্তমানে ১৫২ টিইইউ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের অপেক্ষায় রয়েছে।

বন্দর চেয়ারম্যান জানান, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বন্দরের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন ইয়ার্ড ও টার্মিনালের জন্য ইতোমধ্যে ৪৯টি ইকুইপমেন্ট ক্রয় করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১২টি এসে পৌঁছেছে। বাকিগুলোও আসবে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্প শেষের পথে। মাতারবাড়ী ফাস্ট্র ট্র্যাক প্রকল্প হিসাবে জাইকার সহায়তায় মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী একনেক সভায় অনুমোদন হয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি ক্রয় চুক্তিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সিভিল কার্যক্রমের চুক্তি ও নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে। চট্টগ্রামের বে-টার্মিনাল প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২-১ মাসের মধ্যে এই টার্মিনালের কমন ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্পের ডিপিপি একনেকে অনুমোদন হবে বলে জানান তিনি। সূত্র: দৈনিক যুগান্তর

Related Articles

Back to top button