পরিবারসহ গোপন বাঙ্কারে লুকিয়েছেন খামেনি

অনলাইন ডেস্ক: গত শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ইরানজুড়ে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেইদিন হামলার পরপরেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজান এলাকায় একটি গোপন বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুটি নির্ভরযোগ্য ইরানি সূত্রের বরাতে দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, খামেনির সঙ্গে তার পুত্র মোজতবাসহ পরিবারের সব সদস্যকেও বাঙ্কারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে ২০২৪ সালে ইরান পরিচালিত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘ট্রু প্রমিজ ১’, ‘ট্রু প্রমিজ ২’- এর সময়েও খামেনির পরিবারকে বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (১৫ জুন) প্রথমবারের মতো ইরানের মাশহাদ শহরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এটি ইসরায়েল থেকে দুই হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরে।
ট্রাম্পের সঙ্গে ‘পুর্ণ সমন্বয়’ করেই সব হচ্ছে, দাবি নেতানিয়াহুরট্রাম্পের সঙ্গে ‘পুর্ণ সমন্বয়’ করেই সব হচ্ছে, দাবি নেতানিয়াহুর
মধ্যপ্রাচ্যের একটি কূটনৈতিক সূত্র ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেছে, মাশহাদে ইসরায়েলি বিমান হামলা খামেনির জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল যে তিনি দেশের কোথাও নিরাপদ নন।
কূটনৈতিক ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, অভিযানের প্রথম রাতেই ইসরায়েল খামেনিকে হত্যা করতে পারতো। তবে ইসরায়েলি সরকার সেটি না করে তাকে চূড়ান্ত একবারের জন্য সুযোগ দিয়েছেন যেন তিনি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করেন।
‘সেইফ এক্সিটের’ পরিকল্পনায় ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তারা‘সেইফ এক্সিটের’ পরিকল্পনায় ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তারা
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বাতিল করে চুক্তি করার জন্য খামেনিকে দুই মাসের সময় দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে খামেনি ট্রাম্প এবং ইসরায়েল উভয়ের সতর্ক বার্তা অবজ্ঞা করেছেন।