বছরখানেক সময় লাগবে
অনলাইন ডেস্ক: যেসব বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য আছে সেসব বিষয়ে সংস্কার শুরু করার মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। রাজধানীতে এক সংলাপে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বছরখানেক সময় পেলে সংস্কারগুলো করে যেতে পারবে অর্ন্তবর্তী সরকার। এসময় বিচার বিভাগকে প্রভাবমুক্ত রাখতে নিয়োগ ও পদায়নে স্বচ্ছতা আনার পরামর্শ দেন আইন বিশ্লেষকরা।
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ইচ্ছা আছে বছরখানেক সময় পেলে এই কাজগুলো করে যাব। এরপরও পলিটিক্যাল পার্টির ওনারশিপের একটা ব্যাপার আছে। পরের সরকার এসে এগুলো বাতিলও করে দিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঐকমত্য থাকলে, পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার সহজে এই সংস্কারগুলো বদলাতে বা বাতিল করতে পারবে না। আমাদের জন্য সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।’
গতকাল সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় ঐকমত্যের প্রশ্নে সংস্কার বাস্তবায়নে মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের উচ্চতর বিচার বিভাগকে এমন সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতায় রাখা হয়েছিল এবং তাদের কর্তৃত্ব সুসংহত করতে ব্যবহার করা হয়েছে।
এ সময় দলবাজ বিচারক যে সুশাসনের অন্তরায় তা তুলে ধরতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথমে আপনাকে ফিক্সড করতে হবে উচ্চ আদালত, উচ্চ আদালতে নিয়োগটা ঠিক করতে হবে। নিয়োগের সঙ্গে যদি জয় বাংলা বা জিন্দাবাদ করা লোক আসে; এটা যদি নিশ্চিত হয়ে যায়, তখন তো আর উচ্চ আদালতের কাছে আপনি কিছু আশা করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, তখন অনেকে দোষী প্রমাণিত না হয়েও দীর্ঘ সময়ের জন্য আটক ছিলেন এবং জামিনের আবেদনগুলো প্রায়ই প্রত্যাখ্যান করা হতো। দেশে যদি প্রতি পাঁচ বছর পরপর সুষ্ঠু নির্বাচন হতো এবং নির্বাচিত দল সরকার গঠন করত, তাহলে ক্ষমতাসীন দল বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে এতটা স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারত না।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে বিচার বিভাগীয় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, তিনটি সংস্কার প্রস্তাবের ভিত্তিতে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে।