রেমিট্যান্সে আরও গতি

অনলাইন ডেস্ক: ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে আরও গতি এসেছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের ১৮ দিনে ১৮৬ কোটি ডলার সমপরিমাণ প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। আগের বছরের ডিসেম্বরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪২ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও ভালো প্রবৃদ্ধি আছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী গত বুধবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহ আগে গত ১১ ডিসেম্বর যা ছিল ১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) দেড় বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর গত ১১ নভেম্বর রিজার্ভ নামে ১৮ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে। এক মাস এক সপ্তাহের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেড় বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনে রিজার্ভ বাড়াচ্ছে। এ সময়ে আগের বকেয়া ও রমজানক সামনে রেখে আমদানি দায় পরিশোধ বেড়েছে। এসব কারণে দীর্ঘদিন ১২০ থেকে ১২২ টাকা বেচাকেনা হওয়া ডলারের দর ১২৫ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে প্রবাসী আয়ে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই ছাড়া প্রতি মাসেই আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে জুলাইতে রেমিট্যান্স নেমেছিল ১৯১ কোটি ডলারে। এর পর থেকে ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে জুলাই থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৯ কোটি ডলারে।
আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১১ কোটি ডলার। এ সময়ে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ২৮৮ কোটি ডলার বা ২৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, অর্থ পাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। যে কারণে হুন্ডি চাহিদা কমে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এর মধ্যে চলতি ডিসেম্বরে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ১২৫ টাকা বা বেশি দরে রেমিট্যান্সের ডলার কিনছে অনেক ব্যাংক। যে কারণে চলতি মাসে রেমিট্যান্স বেশি বাড়ছে। এ ধারা ঠিক থাকলে চলতি অর্থবছর রেমিট্যান্সের রেকর্ড হবে। এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড ছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে। বিশ্বব্যাপী করোনা আতঙ্কের কারণে ওই সময় হুন্ডি কমে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স অনেক বেড়েছিল।

Related Articles

Back to top button