‘মার্কিন তেল-গ্যাস কিনুন, নইলে…’ ইইউকে ট্রাম্পের হুমকি

অনলাইন ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন চ্যালেঞ্জের লক্ষ্য এবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কয়েক সপ্তাহ আগেই ইউরোপকে হুমকি দিয়ে রাখলেন ট্রাম্প।

বলেছেন, ইইউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘বিশাল’ বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য মার্কিন তেল ও গ্যাস না কেনে, তাহলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার এক বার্তায় স্পষ্ট করে বলেছেন, ইউরোপকে মার্কিন তেল ও গ্যাস বড় পরিমাণে কেনাকাটা করতে হবে। অন্যথায়, ‘পুরোপুরি ট্যারিফ আরোপ হবে’ বলে সতর্ক করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট তার সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম Truth Social-এ লিখেছেন, ‘আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলেছি, আমাদের তেল ও গ্যাস বৃহৎ পরিসরে কিনে তাদের বিশাল ঘাটতি পূরণ করতে হবে। অন্যথায়, পুরোপুরি ট্যারিফ!’

ট্রাম্প তার আগের মেয়াদেও বলেছিলেন, ‘অনেক দিন ধরেই ইউরোপ আমেরিকার সুবিধা নিচ্ছে। আমরা তা ঘটতে দিয়েছি’। তখন তিনি ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত অর্থায়ন বন্ধ করারও হুমকি দিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের বাণিজ্য ঘাটতির তথ্য অনুযায়ী, ইইউর সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২০২.৫ বিলিয়ন ডলার। ইউরোপ থেকে দেশটির আমদানি ৫৫৩.৩ বিলিয়ন ডলার এবং রপ্তানি ৩৫০.৮ বিলিয়ন ডলার।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের দেশ এখন সবার কাছেই হারাচ্ছে’।

তিনি এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাজে চুক্তিগুলোকেই’ দায়ী করেছেন। তার মতে, ট্যারিফই যুক্তরাষ্ট্রকে ধনী করবে।

ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই নির্বাহী আদেশে আমদানি পণ্যের ওপর ট্যারিফ আরোপ এবং অভিবাসন আইন কঠোর করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এদিকে ইইউ ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প বাজার খুঁজতে শুরু করেছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে এবং প্যারাগুয়ের সঙ্গে একটি বৃহৎ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে ইউরোপীয় সংস্থাটি।

চুক্তির পর ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েন ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করেই বলেছেন, ‘বিপরীত দিক থেকে শক্তিশালী বাতাস বয়ে যাচ্ছে’।

তবে তিনি এই বাণিজ্য চুক্তিকে ‘ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যের সেতু’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে ট্রাম্পের হুমকিরর পর প্রশ্ন উঠেছে, ট্যারিফ কি সত্যিই আমেরিকাকে ‘মহান’ করে তুলতে পারবে? নাকি ট্রাম্পের দেশ সত্যিকারের অর্থেই ‘সবার কাছে হারবে’?

কেবল সময় আর ডোনাল্ড ট্রাম্পই এর উত্তর দিতে পারবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র: এনডিটিভি

Related Articles

Back to top button