স্টেডিয়ামে পা রাখতেই গেট বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক: টানা ১৬ ঘণ্টা বিমান ভ্রমণ করে হামজা চৌধুরী গতকাল দুপুরে ঢাকায় এসে খানিকটা বিশ্রাম নিয়েই ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুশীলনে যোগ দেন। অনেকের মতে, দেশি কোনো ফুটবলার হলে ক্লান্তি কাটাতে ডিস্টার্ব করা যাবে না। হামজা চৌধুরী প্রথমবার ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন বলে সংবাদমাধ্যমেরও ভিড় ছিল। ভিড় ছিল ফুটবল উৎসুক দর্শকদের।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বাস থেকে নামতে গিয়ে দর্শকের মোবাইল ফোনে ছবি তোলার হিড়িক দেখা গেছে। সাংবাদিকরা প্রথম দিন অনুশীলন দেখবেন, দলের যে কোনো একজন ফুটবলার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। যেহেতু হামজা চৌধুরী চলে এসেছেন, তাকে ঘিরেই ছিল সংবাদমাধ্যমের আগ্রহ। কিন্তু কথা বলতে দেওয়া হলো না। টিমস কমিটি থেকে জানানো হলো কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার নিষেধ রয়েছে। ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ। ১০ জুন এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ।
কিন্তু হামজার প্রথম দিনেই কোচের পক্ষ হতে বলা হলো ক্লোজড ডোর অনুশীলন হবে। ক্লোজড ডোর অনুশীলন করার কারণ প্রতিপক্ষ যেন কৌশল জানতে না পারে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাও ক্লোজড ডোর অনুশীলন করে। ফুটবল দুনিয়ায় সব দেশ, সব ক্লাবই ক্লোজড ডোর অনুশীলন করে। তবে ক্লোজড ডোর অনুশীলনের পূর্বে সংবাদমাধ্যমকে ১৫ মিনিট সুযোগ দেওয়া হয়। এটাই ফুটবলের রীতি।
কিন্তু জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের হাঁটেন ভিন্ন পথে। নিজের খেয়াল খুশি মতো চলেন। অনুশীলনে নামার আগে কয়েক মিনিট সময় নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হলে এমন কোনো ক্ষতিও নেই। কিন্তু এই কোচ যখন যা মনে করেন তা-ই করেন।
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের ম্যাচের আগে বাংলাদেশের এক সাংবাদিকের ওপর রেগে গিয়ে সব সাংবাদিককে এড়িয়ে চলছিলেন। কারো সঙ্গে কথা বলবেন না। তার অপছন্দের সাংবাদিক উপস্থিত থাকলে তিনি আসবেন না। টিম হোটেলের লবিতে কোনো সাংবাদিককে দেখতে চান না কোচ। কড়াকড়ি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। এসব অভব্য আচরণ মেনে নিয়েছে বাফুফে। কাজী নাবিল-কাজী সালাহউদ্দিনরা এই কোচকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। যিনি কখনো জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করেননি। এমন কোচকে এনে সাফল্যও পায়নি।
ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে কোচের ওপর খুশি বাফুফে। অথচ ২০১৯ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছিল, ১-১ গোলে ড্র করে।
হ্যাভিয়ের কাবরেরা বসুন্ধরা কিংসের বেঞ্চে বসা ফুটবলারদের নজর দেন বেশি। লিগ চ্যাম্পিয়ন হলো মোহামেডান, রানার্সআপ আবাহনী, আর তৃতীয় স্থানে থাকা কিংসের খেলোয়াড়দের আধিক্য বেশি। মদকাণ্ডে বসুন্ধরা কিংসের ৫ ফুটবলার। সেবার হ্যাভিয়ের বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনকে বলেছিলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের তিনি জাতীয় দলে নেবেন না। সাফের সেরা গোলরক্ষক জিকোকে নেবেই না। বাফুফের সভাপতি কথা বলে দলে নিয়েছিলেন। তারপরও কোচ তাকে অবহেলা করে গেছেন। কারণ কিংসের কর্তৃপক্ষ সায় দিচ্ছিল না। এবার সাদ উদ্দিন শাস্তির মুখে পড়লেও কাবরেরা তাকে দলে নিয়েছেন, আলোচনা ছাড়াই।