গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে
অনলাইন ডেস্ক: কয়েক মাস ধরে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দীবিনিময় নিয়ে আলোচনায় অচলাবস্থা চলে আসছিল। তবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তি এখন হতে পারে বলে নতুন করে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ এই আলোচনায় জড়িত একজন শীর্ষ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, আলোচনা এখন নির্ধারণমূলক ও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজও বলেছেন, একটি সমঝোতা চুক্তি আগের চেয়ে অনেক কাছাকাছি রয়েছে।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে সাম্প্রতিক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর তাদের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা আবার শুরু করেছে। ১৪ মাসব্যাপী এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের মধ্যেই সমঝোতায় পৌঁছানোর ইচ্ছা বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে। একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল বর্তমানে কাতারের রাজধানী দোহায় রয়েছে। সেখানে কূটনৈতিক কার্যক্রমের ব্যস্ততা চলছে।
ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা তিন ধাপের এই চুক্তির পরিকল্পনার বিষয়টি বিবিসির কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, চুক্তির প্রথম ৪৫ দিনের মধ্যে গাজায় আটকে রাখা বেসামরিক নাগরিক ও ইসরায়েলি নারী সৈন্যদের মুক্তি দেবে হামাস। একই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী শহরের কেন্দ্র, উপকূলীয় সড়ক ও মিসরের সীমান্তবর্তী কৌশলগত এলাকা থেকে সরে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাস্তুচ্যুত গাজার অধিবাসীদের জন্য উত্তরের এলাকায় ফিরে যাওয়ার একটি প্রক্রিয়া থাকবে। দ্বিতীয় ধাপে বাকি বন্দীদের মুক্তি এবং ইসরায়েলি সৈন্যদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে। আর তৃতীয় ধাপে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা ও স্থল হামলা করে আসছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় এই পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখের বেশি মানুষ।