এক বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২১ শতাংশ 

অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী সরকার পতনের শেষ বছরে ১৭ হাজার ৪৯টি সন্দেহজন লেনদেন শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। কিন্তু এক বছর আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৪ হাজারের ঘরে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ।

বিএফআইইউ অর্থপাচাররোধে দেশের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ক ইউনিট হিসেবে কাজ করে। ব্যাংক কর্মকর্তারা যেসব লেনদেনকে সন্দেহজনক বলে মনে করেন, সেসব লেনদেনকে তারা ‘সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন’ হিসেবে বিএফআইইউতে পাঠিয়ে দেন। কোনো ছোট গ্রাহকের হিসাবে বড় লেনদেন, কোনো গ্রাহকের একসঙ্গে বড় অঙ্কের নগদ টাকা উত্তোলন, ছোট ব্যবসায়ীর নামে বড় ঋণ, অপরিচিত হিসাবে টাকা স্থানান্তর, সম্পর্ক নেই এমন হিসাবে লেনদেন ব্যাংকগুলো সাধারণত এসব বিষয়কে সন্দেহজনক লেনদেন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

সন্দেহজনক লেনদেন ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে প্রায়শই ব্যাংক হিসাব জব্দ করছে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ। তবে ৫ আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিএফআইইউ, এনবিআর ও দুদক যৌথ প্রচেষ্টায় ৩৪৩ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। তাদের অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

বিএফআইইউ সূত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে ২২৫টি তদন্ত রিপোর্ট সিআইডি ও দুদকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০টির অডিট রিপোর্ট সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই বাকিগুলোর অডিট সম্পন্ন করে দুদক ও সিআইডিতে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএফআইইউয়ের একজন কর্মকর্তা।

সূত্র আরও জানায়, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা জোট এগমন্টের সঙ্গে যুক্ত ১৭৭টি দেশ ছাড়াও একাধিক দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি রয়েছে বিএফআইইউয়ের। বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া সম্ভব্য সব দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সহায়তায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে সব রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

গত ১৪ ডিসেম্বর ১০ কোম্পানির পাচার করা অর্থ ফেরাতে দুদক সিআইডি এনবিআরের সমন্বয়ে টিম গঠিত হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এই দলকে আইনি সহায়তা দেবে। কার্যালয় হবে বিএফআইইউ বা বাংলাদেশ ব্যাংক। যৌথ দলটিকে নেতৃত্ব দেবে দুর্নীতি দমন কমিশন।

Related Articles

Back to top button