মাইকেল জ্যাকসনের ১২টি অপ্রকাশিত গানের ক্যাসেটের সন্ধান

অনলাইন ডেস্ক: অবিশ্বাস্যভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেন্টুরা কাউন্টির একটি পরিত্যক্ত স্টোরেজ ইউনিট থেকে প্রয়াত বিশ্ববিখ্যাত পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসনের ১২টি অপ্রকাশিত গানের ক্যাসেট উদ্ধার করা হয়েছে। গানগুলো ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে রেকর্ড করা হয়েছিল, যা কিংবদন্তি শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের সৃষ্টিশীল সময়ের একটি দুর্লভ চিত্র তুলে ধরছে।

এই বিরল আবিষ্কারটি করেন একজন প্রাক্তন ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে প্যাট্রোল অফিসার গ্রেগ মুসগ্রোভ। শখের বসে ‘ট্রেজার হান্টিং’ অর্থাৎ লুকিয়ে থাকা মূল্যবান সামগ্রী খোঁজার একটি অভিযান শুরু করেন তিনি। সেই সূত্রেই তিনি ব্রায়ান লরেন-এর পুরাতন স্টোরেজ ইউনিটটি খুঁজে পান। ব্রায়ান লরেন ছিলেন একজন বিখ্যাত সংগীত প্রযোজক, যিনি মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।

স্টোরেজ ইউনিট থেকে উদ্ধার হওয়া গানের মধ্যে রয়েছে ‘ডোন্ট বিলিভ ইট’, ‘সন অব থ্রিলার’, ‘ট্রুথ অন ইয়োথ’। এই গানগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সাক্ষী, যখন মাইকেল জ্যাকসন তার বিখ্যাত ‘ডেঞ্জারাস’ অ্যালবাম প্রকাশের জন্য বিভিন্ন ধারার সংগীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন।

আইনি জটিলতা: গ্রেগ মুসগ্রোভ এই গানের টেপগুলো আবিষ্কার করার পর তিনি মাইকেল জ্যাকসন এস্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এস্টেট জানায়, তারা এই বিশেষ ক্যাসেট কপির মালিক নয়, কিন্তু মূল মাস্টার রেকর্ডিংগুলোর স্বত্ব তাদের কাছেই সংরক্ষিত আছে। এই আইনি অবস্থানের কারণে গানগুলো জনসমক্ষে প্রকাশের বিষয়টি বেশ জটিল হয়ে উঠেছে। যদিও এস্টেট এই ক্যাসেটগুলো কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেনি, তবে গানগুলোর বাণিজ্যিক ব্যবহারের অধিকার তারা সংরক্ষণ করে রেখেছে। তবে মুসগ্রোভ ও তার আইনজীবী গানগুলো মাইকেল জ্যাকসন স্মারক সংগ্রাহকদের কাছে বিক্রির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু কিছু সৌভাগ্যবান ব্যক্তিই হয়তো গানগুলো পুরোপুরি শোনার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে গানগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এগুলো প্রকাশিত হলে তা নিঃসন্দেহে সংগীত জগতে একটি বড় ঘটনা হবে। কিন্তু আইনি এবং নৈতিক দিকগুলো বিবেচনায় রেখে মুসগ্রোভ এই গানগুলো ভবিষ্যতে কী করবেন, সেটি পরিষ্কার নয়।

Related Articles

Back to top button