ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে

অনলাইন ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন তারা যদি স্বেচ্ছায় এসে তা স্বীকার করেন, তাহলে তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে। নয়তো প্রতারণার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক ও মূল লক্ষ্য ছিল কোটা সংস্কার। পরবর্তী সময়ে এ আন্দোলন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। এই আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এবং সরকারি চাকরিতে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির পদে এ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলের সংখ্যা যাচাইয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে অমুক্তিযোদ্ধা শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া আরম্ভ করা হয়েছে। অমুক্তিযোদ্ধা শনাক্তকরণে অভিযোগ ফরম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যাদি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করার জন্য সব মন্ত্রণালয় থেকে তথ্যাদি সংগ্রহের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের সংগৃহীত তথ্যাদি যাচাই-বাছাইপূর্বক একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলছে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের সর্বমোট সংখ্যা ৮৯ হাজার ২৩৫ জন।

Related Articles

Back to top button