বাড়ছে শীতের তীব্রতা, বিপাকে নীলফামারীর খেটে খাওয়া মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের উত্তরাঞ্চল নীলফামারীতে তাপমাত্রা ক্রমশ কমছেই। অব্যাহত রয়েছে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস। তাপমাত্রা কমায় গত কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
এ অবস্থায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার কারণে সকালে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে, বিঘ্নিত হচ্ছে প্লেন চলাচলও।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গত কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে অবস্থান করছে। মধ্যরাত থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে এ অঞ্চল।
আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
শীত বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্টে পড়েছেন এ জনপদের মানুষ। দিন গড়িয়ে সূর্য উঠলেও সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট। সে সময় রাস্তায় কমে যায় মানুষের চলাচল। দুর্ভোগে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
ডোমার উপজেলার চিলাই গ্রামের নবীকুল ইসলাম বলেন, কয়দিন থেকে খুব শীত ও কুয়াশা। সকালে ঠান্ডার কারণে কাজ করা যায় না। এতে খুব সমস্যায় পড়ছি।
একই এলাকার বাসিন্দা সাজু ইসলাম বলেন, সকালের দিকে আর সন্ধ্যা থেকে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। সকালে কুয়াশা আর শীতটা বেশি থাকে। প্রয়োজন থাকলেও সকালে বাহিরে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও এ জেলায় শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত নানা রোগব্যাধি। জেলা সদরসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকেরা শীতে স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, গতকাল রোববার (৮ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেনি।