ইউপি মেম্বার থেকে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে —তারেক রহমান
অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা দেশে একটা জবাবদিহির পরিবেশ তৈরি করতে চাই। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের মূল লক্ষ্য জবাবদিহিতা। শুধু প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপিরা জবাবদিহি করবে? না। প্রতিটি পর্যায়ে জবাবদিহি করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার যেমন জবাবদিহি করবে, তেমনি একজন প্রধানমন্ত্রীও জবাবদিহি করবে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের প্রত্যেকটি পর্যায়ে জবাবদিহি করতে হবে।’
ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির দিনব্যাপী ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও জনসম্পৃক্তকরণ কর্মশালায় গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সকাল ১০টা থেকে সদর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম হল রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতারা অংশ নেন।
কর্মশালায় তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্য খাতে এমন একটি পর্যায় সৃষ্টি করতে চাই যে দেশের মানুষ দেশেই চিকিৎসা নিতে পারবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য শিক্ষা নিতে পারবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই। একমাত্র জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা গেলে অনেক কিছুই করা সম্ভব হবে। এ জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের ঘুরে আবার পেছনে যেতে হবে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা আছে বলে ঘরে বসে থাকলে সেই আস্থা ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যাবে। সুতরাং প্রথম শর্ত হচ্ছে জনগণকে আস্থায় রাখা এবং আস্থায় রাখতে হলে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের উঠতে হবে ও চলতে হবে। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ কিছু ভুল করছে, সেই ভুল থেকে তাদের শুধরে যেতে হবে অথবা তাদের সতর্ক করতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে আমাদের আরো কঠোর হতে হবে। মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক দলের পুঁজি হচ্ছে জনগণের আস্থা। এ পুঁজি যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাবে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। ঠিক একইভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘গত দুই-তিন মাসে দেখেছি, বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। তারা যে সংস্কারের কথা বলছেন তা আমাদের এ ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে। আমরা যে মূল বিষয় বলেছি, তারা একই কথা বলছেন। বিএনপি এমন এক সময়ে দফাগুলো উপস্থাপন করেছে, যখন আমরা জানতাম স্বৈরাচারের পতন হবে। হয়তো সঠিক সময়টা জানতাম না। আমরা যে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রমাণ।’