ভারতের ৪৯ মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর : রিউমার স্ক্যানার

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অন্তত ৪৯টি গণমাধ্যম ভুয়া খবর প্রকাশ করেছে বলে দাবি করছে রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ। এর মধ্যে রিপাবলিক বাংলা সর্বাধিক পাঁচটি গুজব প্রচার করেছে। পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ ও লাইভ মিন্ট, যারা প্রত্যেকে অন্তত তিনটি করে গুজব প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া রিপাবলিক, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ ও আজতক অন্তত দুটি করে গুজব প্রচার করেছে।

গতকাল শুক্রবার রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। ভারতের বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।

ওয়েবসাইটটি জানায়, দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনের এক পর্যায়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বাধা দিলে তা সংঘাত ও সহিংসতায় রূপ নেয়। আন্দোলনের তীব্রতায় গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছেরের শাসনামলের অবসান হলেও সারা দেশে সংঘর্ষ, হত্যাকাণ্ড, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এই অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে ভারতেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ বিষয়ে একের পর এক গুজব ছড়িয়েছে।

রিউমার স্ক্যানার দলের অনুসন্ধানে বলা হয়, রাষ্ট্রক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত অন্তত ১৩টি ভুয়া খবর পাওয়া গেছে।

এমন ভুয়া খবর প্রচারের তালিকায় ভারতের অন্তত ৪৯টি গণমাধ্যমের নাম উঠে এসেছে।
এসব গুজবের মধ্যে ছিল : শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নামে ভুয়া খোলা চিঠি, মুসলিম ব্যক্তির নিখোঁজ পুত্রের সন্ধানে মানববন্ধন করার ভিডিওকে হিন্দু ব্যক্তির দাবিতে প্রচার, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইসিইউতে ভর্তি হওয়া, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, ট্রাম্পের বিজয়ের পর ড. ইউনূসের ফ্রান্সে পালিয়ে যাওয়া, পাকিস্তানি জাহাজের মাধ্যমে অস্ত্র আনা,

নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী হিসেবে প্রচার, বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হওয়া, বাংলাদেশে মুসলিমদের হামলায় হিন্দু মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের দাবিতে ভারতে প্রতিমা বিসর্জনের ভিডিও প্রচার, শ্যামলী পরিবহনের বাসে হামলা, চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীর ওপর হামলা এবং বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা হতে পারে জানিয়ে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারির বিভ্রান্তিকর খবর।