‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রাজনীতি প্রবেশ করবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে রাজনীতি প্রবেশ করবে না। যারা প্রতিযোগিতা মূল্যে পণ্য দেবে, দ্রুত দেবে এবং কোয়ালিটি থাকবে, সেখান থেকে নেব। সেটা ভারত বা বিভিন্ন দেশ হতে পারে। এছাড়া আগামী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে স্বস্তি থাকবে।

তিনি বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি করবে কি করবে না এগুলো মেটার না। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলছি। ভিয়েতনামের সঙ্গে কথা বলছি। এগুলোর ব্যাপারে রাজনীতি প্রবেশ করবে না।

বুধবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে স্বস্তি থাকবে কিনা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ থাকবে। খেজুর এলসি হয়েছে, খেজুর চলে আসবে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, একেবারে যে স্থিতিশীল না, সে বিষয়ে আমি এগ্রি করি না। জিনিসপত্রের দাম কমছে কিছুটা। আজকে আমরা চাল, মসুর ডাল আমদানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ দুটিই খাদ্যদ্রব্য। এর আগেও আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। সয়াবিন তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে, সেটা কিভাবে কতটুকু আনা যায়, সে বিষয়ে আমরা আলাপ করেছি। এরই মধ্যে আমদানি হচ্ছে। আমরা তো সমস্ত কিছুর ডিউটি (শুল্ক) কমিয়ে দিয়েছি। অতএব একটু ধৈর্য ধরেন।

পশ্চিমবঙ্গের একজন রাজনীতিবিদ বলেছেন- বাংলাদেশে কিছু রপ্তানি করবে না। আপনারা কূটনৈতিক দেন-দরবার করছেন কিনা? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সেটা কূটনীতিকরা দেখবেন। ভারতে চাল, পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, যখন অতিরিক্ত থাকে তখন কোথায় বিক্রি করবে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সাপ্লাই চেইনের ভেতরে অনেক ব্যাপার। বহুলোক সম্পৃক্ত, পরিবহণের ব্যাপার আছে, বাজারের ব্যাপার, সেগুলো অ্যাড্রেস না করলে তো…। আনলাম গুদামে রয়ে গেল, সেগুলো তো ভোক্তার কাছে যেতে হবে।

বাজারে পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন তথ্য উল্লেখ করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, এটা একটু প্রবলেম আছে। সয়াবিনের দাম বাইরে অনেক বেড়ে গেছে।

সিন্ডিকেট নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট তো এক জায়গায় না। চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট, পরিবহণের সিন্ডিকেট, রাজনৈতিক আছে। আমি সব সময় বলি- রাজনৈতিক সমঝোতা খুব কঠিন, চাঁদাবাজির সমঝোতা খুব সহজ।

ট্যাক্স কমানোর তো প্রভাব পড়তে দেখা যাচ্ছে না? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সেটাই তো আমার জন্য একটু চিন্তার ব্যাপার। সবকিছু তো জিরো ট্যাক্স করে দিয়েছি।

Related Articles

Back to top button