যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক: রংপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও ননদের স্বামীসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী, ননদ ও ননদের স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার (১৪ জুন) এ খবর নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস।

গৃহবধূ রেজোয়ানা দিল আফরোজ (২২) শুক্রবার রাতে ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে রেজোয়ানা দিল আফরোজের বিয়ে হয় রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানার সরেয়ারতল এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রেজাউল করিমের সঙ্গে।

বিয়ের সময় বরপক্ষকে ৫ লাখ টাকার উপহার দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

বিয়ের পর থেকেই রেজোয়ানা যৌতুকের জন্য নিয়মিত নির্যাতনের শিকার হন। সেই ধারাবাহিকতায় গত ৫ জুন যৌতুকের জন্য স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা মারধর ও নির্যাতন করে রেজোয়ানাকে। সেই নির্যাতনের রেশ কাটতে না কাটতেই ৮ জুন বিকেল ৩টার দিকে আসামিরা মিলিত হয়ে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তীব্র দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রেজোয়ানাকে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। নিহত রেজোয়ানার দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

নিহতের বাবার অভিযোগ, তার মেয়েকে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় জামাই পুড়িয়ে হত্যা করেছে। শ্বশুর-শাশুড়িরা আগুন নেভাতে না গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে জানিয়ে দেয় মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি মেয়ে হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি চান।

এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কুদ্দুস জানান, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার পর স্বামী, ননদ ও ননদের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।’

Related Articles

Back to top button