দুশ্চিন্তার নাম ব্যাটিং, জ্যামাইকায় মান বাঁচাতে পারবে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক: অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে বোলিংয়ে দারুণ করেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে প্রায় তিন বছর আগে শেষবার টেস্ট খেলা হয়। বাংলাদেশ এই মাঠে সবশেষ খেলেছে ২০১৮ সালে। অ্যান্টিগা থেকে জ্যামাইকা যাওয়ার পর নিজেদের ভুল শুধরে মাঠে নামতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।

স্যাবাইনা পার্কের তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও বাংলাদেশের ভয় সেই ব্যাটিং নিয়ে। ব্যাটাররা ভালো কিছু করে দিতে পারলে দ্বিতীয় টেস্টে ইতিবাচক ফল আশা করতে পারে সফরকারীরা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট আজ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।

স্যাবাইনা পার্কে বাংলাদেশ দল ২০০৪ সালে এবং ২০১৮ সালে দুটি টেস্ট খেলেছে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের হার ইনিংস ও ৯৯ রানে। সবশেষ ম্যাচে ১৬৬ রানে।

সফরে ঘুরেফিরে মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর না থাকাটা সামনে আসছে। দুজনই ইনজুরির কারণে এই সফরে নেই। তারা না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে অনেক নতুনের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে মেহেদী হাসান মিরাজদের।

প্রথম টেস্টে মুমিনুল হক, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। কিন্তু থিতু হয়েও তারা বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। ম্যাচে সর্বোচ্চ আট উইকেট নিয়েছেন ডান-হাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। বোলারদের কৃতিত্ব ম্লান হয়ে যায় ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। ম্যাচের পঞ্চমদিনে গিয়ে বাংলাদেশ ২০১ রানের বড় ব্যবধানে হারে।

অ্যান্টিগায় আগের দুই টেস্ট থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ভালো ছিল। বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন বলতে পেস আক্রমণে দেখা যেতে পারে। গতি তারকা নাহিদ রানাকে একাদশে দেখা যেতে পারে। এছাড়া অন্য বিভাগে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।

বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিরাজ জ্যামাইকা পৌঁছানোর পর বলেছেন, ‘প্রথম টেস্টে আমাদের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা সেটা পারিনি। ওই ম্যাচে আমাদের বেশ কয়েক জায়গায় ভুল হয়েছে। সেসব ভুল শুধরে আমরা মাঠে নামব।’ এই মাঠে সবশেষ সফরে ম্যাচে সাত উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ।

স্যাবাইনা পার্কের উইকেটে বরাবরই প্রচুর রান থাকে। এই মাঠে ১৯৩০ সালে ৮৪৯ রান করেছিল ইংল্যান্ড। সবমিলে এই মাঠে পাঁচশর উপরে স্কোর রয়েছে ১৩ ইনিংসে। সাতশর উপরে তিনটি! এই মাঠে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ২৮৪। ২০০৪ সালে এই রান করেছিল বাংলাদেশ। স্যাবাইনা পার্কে আজ থেকে আগামী পাঁচদিনই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই মাঠে সবশেষ দুই ম্যাচে একটিতে পাকিস্তান ও একটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে।

Related Articles

Back to top button