সাবিনারা দেখবেন, তপুরা আজ কী করেন

অনলাইন ডেস্ক: সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের ফুটবলাররা এখনো ক্যাম্পে রয়েছেন। তাদেরকে ছুটি দেওয়া হয়নি। কারণ নানা জায়গা থেকে ডাক আসছে। ছুটতে হচ্ছে টিভিতে, টকশো অনুষ্ঠানে। কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, সানজিদা, কৃষ্ণা, মনিকা, মারিয়ারা। বাফুফের নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরন বলছিলেন-‘যদি ওরা এখন না ঘোরে, কখন ঘুরবে। ট্রফি এনে দিয়েছে। আনন্দে রয়েছে।’

বাংলার নারী ফুটবলাররা যখন চ্যাম্পিয়নের আনন্দে ভাসছে তখন পুরুষ ফুটবলাররা অস্তিত্ব রক্ষায় আজ মাঠে নামতে যাচ্ছেন। ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ। দুইটা ম্যাচ খেলার জন্য মালদ্বীপ ঢাকায় এসেছে। আজ প্রথম ম্যাচ, আগামী শনিবার দ্বিতীয় ম্যাচ। ভেন্যু বসুন্ধরা কিংসের মাঠ। একই সময়ে খেলা শুরু হবে, সন্ধ্যা ৬টায়।

মালদ্বীপ ঢাকায় এসে হুংকার দিয়ে বলেছে, তারা এই দুই ম্যাচের ফেভারিট। সহজ ভাষায় জয়ের জন্য এসেছে। শেষ বার যখন ঢাকায় খেলেছিল সেই ম্যাচ হেরেছিল মালদ্বীপ। বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা কাল সন্ধ্যায় ম্যাচ প্রিভিউ সংবাদ সম্মেলনে একটা কথা পরিষ্কার বলেছেন যে, তিনি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দায়িত্বপূর্ণ পারফরম্যান্স চান। কেন এমন কথা উঠল। কেন কোচকে বলতে হচ্ছে দায়িত্বপূর্ণ পারফরম্যান্স করতে হবে। কথাটা খুলে না বললেও অনুমান করা যায় যে, তিনি বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলারদের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।

বসুন্ধরার ডজনখানেক ফুটবলার জাতীয় দলে রয়েছেন। যারা এরই মধ্যে ভুটানে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলে এসেছে। তিন ম্যাচ হেরে ৭ গোল হজম করেছে। ১ গোল নিয়ে এসেছে। এটা কিংসের বড় প্রাপ্তি। কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা ভুটানের ম্যাচগুলো দেখেছেন এবং হতাশ হয়েছেন। দায়িত্বপূর্ণ ফুটবল খেলেননি কেউ। ভুটানের পারফরম্যান্সের ছবিটা যেন আজ মালদ্বীপের ম্যাচ না দেখা যায়। কোচ কাবরেরা চান তার ফুটবলাররা দেশের সমর্থকদের মনটা ভরিয়ে দিক।

মালদ্বীপের বিপক্ষে নামার আগে ফর্টিস এফসির বিপক্ষে দুটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে জিতেছে। অধিনায়ক ডেনমার্ক প্রবাসী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া নেই। তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। ছুটি নিয়ে স্ত্রীর পাশে রয়েছেন। তপু বর্মন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। এখন ফিফা র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে মালদ্বীপ, ১৬৩। পিছিয়ে বাংলাদেশ, ১৮৫ স্থানে। বাংলদেশ-মালদ্বীপ হেড টু হেড হিসাব করলে মুখোমুখি হয় ১৮ ম্যাচ। ৬ জয়, ৬ ড্র, ৬ হার।

দুই দল প্রথম মুখোমুখি হয় ‘৮৪ সালে, নেপালে সাফ গেমস ফুটবলে। ৫-০ ও ৫-০ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ। পরের বছর ৮৪ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় সাফ গেমসে বাংলাদেশ ৮-০ গোলে হারায়। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ ড্র হয় ৯৫ সালে। গোলশূন্য ছিল। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ হারে ৯৯ সালে, সাফ গেমস ফুটবলে নেপালে। ২-১ ছিল। তবে সেই সাফ গেমস ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। যদি শেষ ৫ ম্যাচের হিসাব করা হয় তাহলে গড়ে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ভালো বলতে হবে। কারণ গত বছর ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে মালদ্বীপের মাঠে ১-১ গোলে ড্র হয়। আর ঢাকায় বসুন্ধরা কিংসের মাঠে বাংলাদেশ ২-১ গোলে জিতেছিল। সাবিনারা দেখবেন আজ তপুরা কী করেন।

Related Articles

Back to top button