ঢাকা বিভাগে থাকার দাবিতে সরব শরীয়তপুরবাসী

অনলাইন ডেস্ক: সাম্প্রতিক প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে শরীয়তপুরের নাম অন্তর্ভুক্ত না করার দাবিতে পদ্মা সেতু টোল প্লাজার জাজিরা প্রান্তে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জাগো শরীয়তপুর নামের একটি সংগঠন ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে আধা ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এইদিন সকাল ১০টায় পদ্মা সেতু টোল প্লাজা জাজিরা প্রান্তে প্রথমে মানববন্ধন শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে মানববন্ধন শেষ করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে।
এতে টোল প্লাজার সামনের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন। পরে পুলিশের অনুরোধে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, সম্প্রতি সরকার নতুন দুটি বিভাগ করার ঘোষণা দেয়।
একটি ফরিদপুর, অন্যটি কুমিল্লা। প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে ঢাকা বিভাগের শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলা অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়। ঘোষণার পর থেকেই শরীয়তপুরের কয়েকটি সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। এর আগে ২০১৫ সালেও ফরিদপুর বিভাগ শরীয়তপুরকে অন্তর্ভুক্ত না জন জাগো শরীয়তপুর আন্দোলন করেছিলো।
এবারও একই দাবিতে তারা রাস্তায় নেমেছে। দাবির স্বপক্ষে গত একমাস ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, শরীয়তপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব অনেক কম, আর ফরিদপুরের দূরত্ব তুলনামূলক বেশি। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা ও দাপ্তরিক কাজসহ সব ক্ষেত্রেই শরীয়তপুরবাসীর মূল যোগাযোগ ঢাকার সঙ্গে। তাই তারা চান, শরীয়তপুর যেন ফরিদপুর বিভাগের অন্তর্ভুক্ত না হয়।
এসময় শরীয়তপুর জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামি ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, গণধিকার পরিষদ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসূল বলেন, আন্দোলনকারীরা কিছু সময়ের জন্য টোল প্লাজার সামনের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। তাদেরকে অনুরোধ করে অবরোধ উঠিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।




