শেহবাজের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে পিটিআই

অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে সোমবার এ তথ্য জানা যায়।
প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে ২০২২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন পার্লামেন্টের তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)-এর শীর্ষ নেতা শেহবাজ শরিফ। তার সেই প্রস্তাবের জেরেই ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল ইমরান খানকে।
বর্তমানে শতাধিক মামলার আসামি ইমরান খান আছেন পাঞ্জাবের আদিয়ালা কারগারে। অবশ্য কারাগার থেকেই নিয়মিত নিজ দলের নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের আদালত তাকে সেই এক্তিয়ার দিয়েছে।
পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আদিয়ালা কারাগারে নিজের আইনজীবী টিম, পিটিআইয়ের কয়েক জন শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও নিজের বোনদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইমরান খান। সে বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের স্পিকারের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
সম্প্রতি খাইবার পাখতুনখোয়াভিত্তিক রাজনৈতিক দল মিল্লি আওয়ামী পার্টির শীর্ষ নেতা মাহমুদ খান আচাকজাই পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, আদিয়ালা কারাগারের বৈঠকে এ বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন ইমরান খান। সেইসঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন পিএমএলএনের সঙ্গে জোটে নেই, অর্থাৎ বর্তমান সরকারের প্রতি বিরোধীভাবাপন্ন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যেন তারা যোগাযোগ ও ঐক্য স্থাপনের চেষ্টা করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারকে অবশ্যই সারাক্ষণ চ্যালেঞ্জের মুখে রাখতে হবে, পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে।
এ ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য জানতে পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব আনার ব্যাপারটি আমাদের বিবেচনাধীন রয়েছে। এখন যেহেতু ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চলছে, তাই আমরা আপাতত চুপ আছি। কারণ এখন যদি আমরা এ ইস্যু নিয়ে সামনে এগোই, তাহলে জনমনে এমন ধারণা আসতে পারে যে, আমরা বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছি।