১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হতে পারে মিল্টন

অনলাইন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর ঝড়ো বাতাসের গতিবেগ ২৮১ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার টম্পা থেকে ৫২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে মিল্টন। গত ১০০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

এনএইচসি বলছে, মিল্টন ফ্লোরিডার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার ভোরে এটি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলের সব মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের পরিচালক কেন গ্রাহাম বলেছেন, ‘মিল্টন রেকর্ড ভাঙা গতিতে ক্যাটাগরি ফাইভ হারিকেনে পরিণত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এর বাতাসের গতিবেগ ১৪৮ কিলোমিটার/ঘণ্টা পর্যন্ত বেড়েছে।’

মাত্র ১০ দিন আগেই ভয়াবহ হারিকেন ‘হেলেন’ দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’। ঘূর্ণিঝড়টি দ্রুত বড় হারিকেনে পরিণত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উপকূলে এ হারিকেন আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহওয়া বিভাগ। ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে এবং নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেছে প্রশাসন।

মিয়ামির ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের বরাতে গতকাল রবিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, রবিবার ভোরে ‘মিল্টন’ ফ্লোরিডার টেম্পা থেকে প্রায় ১ হাজার ৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। পরবর্তীতে এটি ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে পূর্বদিকে অগ্রসর হয়। ঝড়টি ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার গতি নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভবত ফ্লোরিডার জনবহুল টাম্পা বে এলাকার কাছে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় মিল্টন।

বাসিন্দাদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’ ঠিক কোথায় আঘাত হানবে তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে ফ্লোরিডার উপকূল দিয়েই এটি স্থলভাগে উঠে আসবে। আঘাত হানা সম্ভাব্য অঞ্চলগুলো থেকে ৭ ও ৮ অক্টোবরের মধ্যে বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ফ্লোরিডাবাসীর উদ্দেশ্যে ডিস্যান্টিস বলেন, ‘আজ সারাদিন, সোমবার সারাদিন, সম্ভবত মঙ্গলবার সারাদিন হারিকেন মোকাবিলার প্রস্তুতির সময় আছে। আপনাদের কোথায় নিরাপদে চলে যেতে হবে সে স্থান সম্পর্কে জানুন সেখানে আপনাদের বাধ্যতামূলক ও স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা ফ্লোরিডা ডিভিশন অব ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এবং ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনকে হারিকেন হেলেনের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে সাহায্য করছে।’

ফ্লোরিডার জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক কেভিন গুথরি জনগণকে সতর্ক করেছেন, ‘সম্ভবত ২০১৭ সালের শক্তিশালী হারিকেন ইরমার মতো আঘাত হানবে মিল্টন। তাই উপকূলীয় বাসিন্দাদের দূরে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করছি।’

Related Articles

Back to top button