শফিক রেহমান হাসপাতালে
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক শফিক রেহমান অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে তাকে হাসপাতালে দেখতে যান দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। তিনি এ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরেন শফিক রেহমান।
আওয়ামী সরকারের রোষানলে পড়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ২০১৮ সালে দেশ ছাড়েন। দীর্ঘ ৬ বছর পর চলতি বছর তিনি দেশে ফেরেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ আগস্ট পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর। একইসঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মামলাটিতে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। এই মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেফতার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান।
শফিক রেহমানহাসপাতালে ভর্তিমামলাদেশত্যাগ
জাতীয় থেকে আরও পড়ুন
কেন শফিক রেহমানের সঙ্গে দেখা করলেন রিজভী
প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাসায় গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে শফিক রেহমানের বাসায় যান রিজভী।
জানা গেছে, সৌজন্য সাক্ষাতে রিজভী শফিক রেহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় শফিক রেহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান।
মামলায় ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এই মামলায় রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ছয় বছর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে থাকার পর গত ১৮ আগস্ট দেশে ফেরেন শফিক রেহমান।