পরস্পরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ কমলা ও ট্রাম্পের
অনলাইন ডেস্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি বিতর্ক শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল সাতটায় মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজের আয়োজনে এ বিতর্ক শুরু হয়।
বিতর্ক মঞ্চে প্রবেশ করেই ট্রাম্পের দিকে এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দেন কমলা। দুজন করমর্দন করেন। এরপর কমলার বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।
এবিসি নিউজ ছাড়াও বিবিসি, সিএনএন, চ্যানেল ফোরসহ বিভিন্ন সম্প্রচারমাধ্যম বিতর্কটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে। আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুই প্রার্থীর এই বিতর্ককে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিতর্কে উঠে এসেছে অর্থনীতি, গর্ভপাত ও প্রজনন, ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়।
বিতর্কের শুরুতেই তারা অর্থনীতি নিয়ে একে অপরের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। ট্রাম্পকে আক্রমণ করে কমলা বলেন, ট্রাম্প যখন ক্ষমতা ছাড়েন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থানকে খুবই বাজে অবস্থায় রেখে যান। সে সময় বেকারত্বের হার ছিল মহামন্দার পর সবচেয়ে বাজে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। তিনি আরও বলেন, ১৬ জন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, ট্রাম্পের নীতি বাস্তবায়িত হলে আগামী বছরের মধ্যে মন্দা শুরু হয়ে যাবে।
কমলা বলেন, মার্কিনদের জন্য ট্রাম্পের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, তিনি মার্কিন জনগণের পাশে থাকার চেয়ে নিজেকে রক্ষা করতে বেশি আগ্রহী। ট্রাম্প আগে যা করেছেন, এখনও তা করতে চান। তিনি বিলিয়নিয়ার ও করপোরেশনগুলোর কর কাটছাঁট করবেন।
কমলার তীব্র সমালোচনার জবাব দেন ট্রাম্প। তিনি অন্য দেশের ওপর শুল্ক বসানোর পরিকল্পনার কথা জানান। চীনের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন চীনের কাছ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার শুল্ক এনেছিল। এমনকি ক্ষমতা ছাড়ার পরও শুল্ক এসেছে।
বিতর্কের আগে একাধিক জরিপে দেখা যায়, জনপ্রিয়তায় কমলা ও ট্রাম্প সমানে সমান। শেষ পর্যন্ত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো নির্বাচনের ফলাফল ঠিক করবে। এই বিতর্কের সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে কোন প্রার্থী এসব অঙ্গরাজ্যের ভোট বেশি টানতে পারছেন।