ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়, ২০ রানে নেই ৪ উইকেট
অনলাইন ডেস্ক: ১০ উইকেট হাতে রেখে দিন শুরু করলেও সকালের শুরুতেই ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। দলীয় ২০ রানের মধ্যেই টপঅর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে দিশেহারা সফরকারী দল। জাকির ১, সাদমান ১০, শান্ত ৪ ও সর্বশেষ মুমিনুল আউট হন ১ রান করে। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২ রান। ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
দিনের শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশ
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন সকাল থেকেই নড়বড়ে ওপেনার জাকির। দিনের তৃতীয় ওভারে একপ্রকার ‘জীবন’ই পেয়েছেন তিনি। তবে পরের ওভারে আর টিকতে পারলেন না। চতুর্থ ওভারে খুররম শেহজাদের বলে আবরার আহমেদের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি ব্যক্তিগত ১ রান করে। জাকিরের পর ৫ রানের ব্যবধানে খুররমের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাদমান। এতে ১৯ রানেই দুই উইকেট নেই সফরকারীদের। উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টার আগেই শান্তর বিদায়ে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটেছে বাংলাদেশের। খুররমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ২০
এর আগে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ ভালো শুরু পায় বোলিংয়ে। ওপেনিং ওভারেই তাসকিন ব্রেক থ্রু দেন আব্দুল্লাহ শফিককে আউট করে। শুরুতে উইকেট পাওয়ার পরের ২৬ ওভার সংগ্রাম করতে হয়েছে দ্বিতীয় উইকেটের জন্য। শান মাসুদ ও সাইম আইয়ুব ততক্ষণে ১০৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ২৫ ওভারের প্রথম সেশন শেষ হয় ১ উইকেটে ৯৯ রানে।
দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে মিরাজ ছিলেন ম্লান। ওই ছয়-সাত ওভার বাদ দিলে দিনের বাকি সময়টা তার। প্রথাগত এ অফস্পিনার টার্নহীন সবুজ উইকেটে ফ্লাইট, লুপ ও আর্ম ডেলিভারি দিয়ে ব্যাটারদের মনোযোগে চিঁড় ধরান মধ্যাহ্ন বিরতির পর থেকে। শান ও আইয়ুবের জুটি ভেঙে উজ্জীবিত হন। শানের পরে, সাইম, খুররম শাহজাদ, মোহাম্মদ আলি ও আবরার আহমেদকে আউট করেন তিনি। মোহাম্মদ রফিকের পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়া দ্বিতীয় বোলার মিরাজ। বাঁহাতি স্পিনার রফিক ২০০৩ সালে পেশোয়ারে ১৮৮ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট ও মুলতানে ৩৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। মিরাজ পাঁচ উইকেট নেন ৬১ রান খরচে। তাসকিনের সাফল্য ৫৭ রানে ৩ উইকেট। সাকিব ও নাহিদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট, হাত শূন্য শুধু হাসান মাহমুদের। পাকিস্তানের থামে ২৭৪ রানে।
দিনের শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নামার পর বাংলাদেশ ব্যাট করেছে ২ ওভার। মীর হামজার প্রথম বলে সাদমান ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর অবিচ্ছিন্ন থেকেই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে দিন শেষ করা বাংলাদেশ আজ নামে পাকিস্তানের চেয়ে ২৬৪ রানে পিছিয়ে থেকে।