আন্দোলন বিরোধী শিল্পীদের ক্ষমা চাইতে বললেন জয়

অনলাইন ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যখন প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের মিছিল। তখন শিল্পীদের একটা অংশ ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন জানালেও আরেকটা অংশ সমর্থন দিয়েছেন সরকারকে। কেউ বা ছিলেন চুপ। অবস্থা বুঝে যারা এখন ছাত্রদের পক্ষে কথা বলছেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের রোষানলেও পড়তে হচ্ছে তাদের। এবার শিল্পীদের উদ্দেশে কথা বলেছেন আলোচিত অভিনেতা ও সঞ্চালক শাহরিয়ার নাজিম জয়।

সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় ছাত্র আন্দোলনে নিশ্চুপ থাকায়, জাতির কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এটাও মনে করেন, আন্দোলনে সমর্থন না দেওয়া বাকি শিল্পীদেরও তার মতো ক্ষমা চাওয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই।

ভিডিও বার্তায় জয় বলেন, ‘এক সমন্বয়কে নিজেদের (শিল্পীদের) সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়, তিনি খুব সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আপনাদের মাঝে অনেক শিল্পী রয়েছেন যারা অন্যায় করেছেন। আপনারা আন্দোলনের সময় ছাত্রদের এ আন্দোলনকে সরকারের হয়ে (আওয়ামী লীগ সরকার) অন্যভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। অনেক রকম পোস্ট করেছেন এ আন্দোলনকে, থামানোর, দমানোর । চেষ্টা করেছেন সরকারকে সহযোগিতা করার, সুবিধাভোগী হওয়ার। আপনারা বাংলাদেশ টেলিভিশনে যেয়ে কেঁদেছেন অনেকেই অথচ শত শত, হাজার হাজার স্টুডেন্ট রাস্তায় গুলি খেয়ে মারা গেছেন, কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। অনেকেই তা বোঝেনি সরকারের চামচামি করেছে। সবসময় আপনারা মানুষের তোপের মুখে থাকবেন, ঘৃণার মুখে থাকবে ন।’

জয় আরও বলেন, ‘আপনারা শিল্পী, যাদেরকে মানুষ ভালোবাসে। আপনারা আপনাদের সংগঠন হোক, শিল্পী সমাজ হোক, সকলে একত্রিত হয়ে আপনারা জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন, ক্ষমা চান। ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আপনাদের আসলে আর কোনো পথ নেই।’

এরপর ওই ভিডিওতে বেগম খালেদা জিয়ার হত্যাচেষ্টার মামলার অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন জয়। ভিডিওবার্তায় জয় বলেন, ‘আমার নামে মামলা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার হত্যাচেষ্টার মামলা। যেখানে আমাকে আসামি করা হয়েছে। আমি মামলার এজাহার পড়েছি, যেখানে লেখা আছে- ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় অনেকের সঙ্গে আমিও ছিলাম। বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িতে হামলা করেছি, তাকে হত্যার চেষ্টা করেছি।’

এরপর জয় যোগ করেন, ‘খুব দুঃখ পেয়েছি। জীবনে কখনো কাউকে গায়ে হাত দেওয়ার সাহস পাইনি। কারো সঙ্গে ঝগড়া বিবাদেও যাইনি। সেখানে এমন একটি ঘটনায় আমি মর্মাহত। খুবই কষ্ট পেয়েছি। আমার পরিবারের মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছে।’

Related Articles

Back to top button